কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এক জঙ্গলে সশস্ত্র বেসামরিকদের হাতে অন্তত ৩৪ জন সেনাসদস্য অপহৃত হয়েছেন। এর আগে সামরিক অভিযানে কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র গোষ্ঠীর (এফএআরসি) একটি অংশের কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হন। মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার গুয়াভিয়ার প্রদেশের এল রেতোর্নো এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে অংশ নেয় বিপ্লবী সশস্ত্র গোষ্ঠীর (এফএআরসি) ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যদের শাখা সেন্ট্রাল জেনারেল স্টাফ (ইএমসি)। এ গোষ্ঠী ২০১৬ সালে সরকারের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
মঙ্গলবার মন্ত্রী সানচেজ জানান, সামরিক অভিযানে এক ইএমসি কমান্ডারসহ ১১ জন বিদ্রোহী নিহত হওয়ার পর সেনারা এলাকা ছেড়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ই তাদের অপহরণ করা হয়।
জঙ্গলে ঘেরা এ অঞ্চলটি মাদক পাচারের কৌশলগত করিডোর হিসেবে পরিচিত এবং এখানে ব্যাপকভাবে কোকা চাষ হয়। কোকা গাছের পাতা থেকেই কোকেন তৈরি করা হয়।
এর আগে জুন মাসেও একই ধরনের ঘটনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ৫৭ সেনাকে বেসামরিকরা আটক করেছিল। ওই এলাকা কোকেন উৎপাদনের কেন্দ্র এবং দেশটির চলমান নিরাপত্তা সংকটের অন্যতম উত্তপ্ত অঞ্চল।
কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এসব অঞ্চলের বেসামরিকরা ইএমসি’র নির্দেশেই কাজ করে। এফএআরসি’র এই ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীই এখন দেশটির সবচেয়ে বড় সশস্ত্র সংগঠন।
দেশটিতে মাদক পাচার, অবৈধ খনন ও অন্যান্য অপরাধ-সংশ্লিষ্ট অর্থায়নে টিকে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। ছয় দশকের সংঘাতে ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
শান্তি চুক্তির ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এফএআরসি’র ভিন্নপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহেই দুই দফা হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হন।