রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ১০:৩২ এএম

কেন ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্প?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ১০:৩২ এএম

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ,  ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু , ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

যখন বিশ্বব্যাপী ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরালো হচ্ছে, ঠিক সেই সময় ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা রীতিমতো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনায় ঘি ঢালার শামিল। কিন্তু কি কারণে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন?

ট্রাম্পের ইসরায়েলপ্রীতি শুধু ব্যক্তিগত বা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। এটি মার্কিন রাজনীতির গভীর সামাজিক-ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে জড়িত।

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক নীতি

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের প্রধান মিত্র। ট্রাম্প শুধু এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন তা নয়, বরং আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। ১৯৬৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ধর্মীয় ও রাজনীতিক জোট

মার্কিন রাজনীতিতে ‘ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিষ্টান’ ভোটাররা একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী ইসরায়েলকে বাইবেলীয় ভূমি বলে বিবেচনা করে এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেয়। ট্রাম্প এদের ভোট ও সমর্থন পাওয়ার জন্য ইসরায়েলপ্রীতি প্রদর্শন করেছেন।

জ্যারেড কুশনারের ভূমিকা

ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার একজন ইহুদি, তার পরিবার ও নেটওয়ার্কের ইসরায়েলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কুশনার প্রশাসনের ‘ডিল অফ দ্য’ সেঞ্চুরি (মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা)-এর অন্যতম রূপকার ছিলেন।

জিও-পলিটিক্যাল কৌশল

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণে ইসরায়েল ও সৌদি আরবকে কাছে আনা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য। ইসরায়েলের পাশে থেকে আমেরিকার সামরিক-অর্থনৈতিক স্বার্থও এগিয়ে নেওয়া হয়।

ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ব্র্যান্ড

ট্রাম্প নিজেকে ‘মজবুত নেতা’ এবং ‘চূড়ান্ত চুক্তিকারক’ হিসেবে তুলে ধরতে পছন্দ করেন। ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের রাজনৈতিক ঘাঁটিকে আরও মজবুত করেছেন।

দাতা গোষ্ঠী ও লবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থি লবি গোষ্ঠী (যেমন: এআইপিএসি) এবং ধনী ইহুদি-আমেরিকান দাতারা রিপাবলিকান পার্টিতে প্রচুর অর্থ দেয়। ট্রাম্পও এই আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!