ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না বেইজিং। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমাকে বলেছেন, আপনি প্রেসিডেন্ট থাকা পর্যন্ত আমি কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করব না। প্রেসিডেন্ট শি আমাকে এটা বলেছেন। আর আমি বলেছিলাম, আচ্ছা, আমি এজন্য কৃতজ্ঞ। তবে তিনি এটাও বলেছেন, আমি খুব ধৈর্যশীল, আর চীনও খুব ধৈর্যশীল।’
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গত জুন মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। এর আগে এপ্রিলে শি জিনপিং তাকে ফোন করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ঠিক কবে সেই ফোনালাপ হয়েছিল, তা তিনি জানাননি।
তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে মনে করে চীন এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডকে চীনের সঙ্গে একীভূত করার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং। তবে চীনের এই সার্বভৌমত্বের দাবিকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে তাইওয়ান।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী এবং আন্তর্জাতিক সমর্থক হলেও দুই দেশের মাঝে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বলেছে, তাইওয়ান প্রসঙ্গটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়’।
এক বিবৃতিতে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, মার্কিন সরকারকে এক-চীন নীতি এবং চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইশতেহার মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া তাইওয়ান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা ও চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা আন্তরিকভাবে রক্ষা করতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন