হারিকেন ‘এরিন’ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে, ফলে নর্থ ক্যারোলিনার উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে ক্যাটাগরি-২ মাত্রার এ ঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার আউটার ব্যাংক এলাকা। বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে ব্যারিয়ার দ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে-১২ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) সতর্ক করে বলেছে, প্রাণঘাতী ঢেউয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বেশিরভাগ সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, হারিকেন ‘এরিন’ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০৫ মাইল (১৬৮ কিমি) বেগে বয়ে যাচ্ছে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটি তীব্র আকারে পৌঁছাতে পারে। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে ক্যারিবীয় অঞ্চল পেরিয়ে পুয়ের্তো রিকোতে প্রবল বর্ষণ তৈরি করেছে।’
গবেষকরা বলছেন, হারিকেন ‘এরিন’ অস্বাভাবিকভাবে বড় আকারের—যার ট্রপিক্যাল ঝড়ো হাওয়া প্রায় ৫০০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত। এনএইচসি জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ঝড়টি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এটি সপ্তাহজুড়ে ‘হারিকেন’ হিসেবেই থেকে যাবে। বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরে ৩০ ফুট (৯.১৪ মিটার) উঁচু ঢেউ তৈরি হয়েছে। আউটার ব্যাংকে ওরেগন ইনলেট থেকে হ্যাটারাস ভিলেজ পর্যন্ত হাইওয়ে-১২ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে সতর্কতা সত্ত্বেও নর্থ ক্যারোলিনার রাইটসভিল সৈকতে বুধবারও কিছু মানুষকে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে। নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর জশ স্টেইন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি কিন্তু গুরুতর একটি ঝড়। কেউ যেন সাগরে না নামে।’ তিনি আরও জানান, অঙ্গরাজ্যের তিনটি রেসকিউ টিম এবং ন্যাশনাল গার্ডের ২০০ সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌকা, বিমান ও অন্যান্য যানবাহন দিয়ে সহায়তা করা হবে।
আউটার ব্যাংকের ন্যাগস হেড শহরের মিলার্স ওয়াটারফ্রন্ট রেস্তোরাঁর কর্মী লিলি বিবিসিকে বলেন, বাতাস জোরে বইতে শুরু করেছে এবং আকাশ মেঘলা হয়ে উঠেছে।
হ্যাটারাস দ্বীপের হারবার হাউস সি-ফুড মার্কেটের কর্মী ভিকি হ্যারিসন বলেন, ‘সোমবার সকালে সব পর্যটক আর মঙ্গলবার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখানেই থেকে গেছি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন