ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টিকটক ইস্যুতে অনড় অবস্থানে চীন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক দিনের মন্তব্যের পরই বেইজিং জানায়, ছোট ভিডিও অ্যাপ টিকটককে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত মালিকানায় স্থানান্তরের চুক্তি এগিয়ে চলেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিকটকের বিষয়ে চীনের অবস্থান স্পষ্ট; চীনা সরকার এন্টারপ্রাইজের ইচ্ছাকে সম্মান করে এবং বাজারের নিয়ম মেনে বাণিজ্যিক আলোচনা পরিচালনার জন্য চীনের আইন ও বিধি মেনে সমাধানে পৌঁছাতে এবং স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষা করতে স্বাগত জানায়।’ গত সপ্তাহ ধরে তারা এই অবস্থান বজায় রেখে চলেছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপের পরও সম্ভাব্য মার্কিন-চীন চুক্তি নিয়ে মূল প্রশ্নগুলো রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে টিকটকের সুনির্দিষ্ট মালিকানা কাঠামো, অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে চীনের নিয়ন্ত্রণের মাত্রা এবং চীনের অন্যতম সফল কোম্পানিতে মার্কিন শক্তিকে পিছু হটতে দিয়ে বেইজিং কী লাভ করবে, তা স্পষ্ট নয়।

রয়টার্স বলছে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ তাদের বর্তমান শুল্ক চুক্তির বাইরে নতুন পথ খুঁজতে গিয়ে টিকটকের ভবিষ্যৎকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে। কারণ, এই অ্যাপটির রয়েছে প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারী। সোশ্যাল মিডিয়ার এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মকে ঘিরে আলোচনার পাশাপাশি বিমান থেকে সয়াবিন পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে ছাড়ের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত হতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘আশা করা হচ্ছে যে মার্কিন পক্ষ চীনের মতো একই লক্ষ্যে কাজ করবে, আন্তরিকতার সঙ্গে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং টিকটকসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা উদ্যোগগুলোর অব্যাহত কার্যক্রমের জন্য একটি উন্মুক্ত, ন্যায্য ও বৈষম্যহীন ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদান করবে।’

সপ্তাহের শুরুতে মাদ্রিদে একটি কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে চীনা কর্মকর্তারা ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এটিকে ‘উইন-উইন’ অভিহিত করছে। তারা টিকটকের প্রযুক্তি রপ্তানি এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তি লাইসেন্সিং পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

টিকটক খোলা রাখার ক্ষেত্রে এই কাঠামোগত চুক্তিটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় বাধা ছিল। কারণ, মার্কিন কংগ্রেস এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অ্যাপটি বন্ধ করার, যদি চীনা মালিক বাইটড্যান্স তাদের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না করে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রিদ চুক্তি থেকে চীন কী পেল—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হে ইয়াদং জানান, বেইজিং আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখোমুখি হওয়া বাণিজ্যিক বাধাগুলো কমাবে।