ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে মাদক বহনের অভিযোগে একটি নৌযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। গত কয়েক সপ্তাহে এটি অন্তত চতুর্থবারের মতো হামলা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ তার এক্স (টুইটার) পোস্টে প্রায় ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, পানিতে চলন্ত একটি নৌযানের ওপর একাধিক গোলাবর্ষণের পর তা বিস্ফোরিত হয়ে যায়। আমেরিকান জনগণের ওপর হামলা (মাদকের) বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান চলার ঘোষণা দেন তিনি।
হেগসেথ বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ হামলা চালানো হয় এবং নিহত চারজনই পুরুষ। তার দাবি, নৌযানটিতে বিপুল পরিমাণ মাদক ছিল, যা ‘আমেরিকার জনগণকে বিষাক্ত করার উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল’।
তবে হামলার পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি হেগসেথ। তিনি শুধু দাবি করেছেন, গোয়েন্দা তথ্য ‘নিঃসন্দেহে’ প্রমাণ করে নৌযানটি মাদক বহন করছিল এবং নিহতরা ‘নারকো-সন্ত্রাসী’। কিন্তু কী ধরনের বা কত পরিমাণ মাদক বহন করা হচ্ছিল তা প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, ওই নৌযানে এত মাদক ছিল যা দিয়ে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করা সম্ভব। ভেনেজুয়েলার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অবশ্য এখনো কোনো মন্তব্য জানায়নি।
সাধারণত এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড। তবে সম্প্রতি পেন্টাগন কংগ্রেসকে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চক্রের বিরুদ্ধে ‘অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতে’ লিপ্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনী সক্রিয় হয়েছে।
তবে কিছু সাবেক সামরিক আইন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সমুদ্রে সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীদের হত্যা করে মার্কিন বাহিনী যে যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে, তা যুদ্ধ-আইনের শর্ত পূরণ করে না।