বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

মামদানির জয়ে নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

নিউইয়র্কের মেয়র পদে জোহরান মামদানির বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র শহরটির ওপর  ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি মামদানির জয়ে নিউইয়র্ক ‘কমিউনিস্ট শহরে’ পরিণত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। মায়ামিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) এক ভাষণে এসব মন্তব্য করেন রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মামদানি ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মামদানির বড় জয়ের এক দিন পরই ট্রাম্প মনে করছেন, শিগগিরই ফ্লোরিডার এ শহর হবে সেসব মানুষের আশ্রয়স্থল, যাঁরা নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মার্কিনদের সামনে এখন খুবই স্পষ্ট এক সিদ্ধান্ত—আমাদের সামনে আছে কমিউনিজম আর সাধারণ বুদ্ধির মধ্যে এক পছন্দ।’  তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন’ ও ‘অর্থনৈতিক সাফল্যের বিস্ময়ের’ মধ্যে এক পছন্দ।

গত বছরের ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ট্রাম্প এ ভাষণ দেন। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছি, আর একসঙ্গে আমরা আমাদের দেশকে বাঁচিয়েছি—৩৬৫ দিন আগে সেই গৌরবময় রাতে।’

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানি জয়ী হয়েছেন ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান নেতা ও আরও কিছু মহলের তীব্র সমালোচনা এবং বিরোধিতার মধ্যে। ট্রাম্পপন্থি ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম বিশ্লেষক এবং ট্রাম্প নিজেও ৩৪ বছর বয়সি দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত জোহরানের নীতিমালা ও মুসলিম পরিচয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে কঠোরভাবে আক্রমণ করেছিলেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে বিজয়োৎসবে জোহরান বলেন, ‘যদি কেউ দেখাতে পারেন যে ট্রাম্পের কারণে একটি দেশ প্রতারিত হয়েছে এবং তাঁকে হারানো যায়, তবে সেটা করতে পারবে সেই শহরই, যেখান থেকেই তিনি নিজে উঠে এসেছেন।’

জোহরানের জয়, পাশাপাশি ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের সাফল্য, এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাটদের আরেকটি বড় জয় হলো, ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটাররা একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন যেন এখানকার নির্বাচনি এলাকা নতুন করে ভাগ করা যায়। এতে অন্য অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনি এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ পক্ষপাতদুষ্ট করার ট্রাম্পের চেষ্টা বন্ধ করা যায়।

এতসবের পরও মঙ্গলবারের ফলের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, কিছু বেনামি জনমত জরিপকারী বলেছে রিপাবলিকানদের পরাজয়ের কারণ হলো সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) এবং এ নির্বাচনে তাঁর নিজের নাম ব্যালটে না থাকা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!