সিরিজ জয় দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুটা করল পাকিস্তান। রবিবার দিবাগত রাতে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩ রানে জিতেছে তারা। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিলেন সালমান আগারা। এক ম্যাচের একটি লড়াইসহ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রতিটিতেই জয় তুলে নেওয়ার কীর্তি গড়েছে পাকিস্তান। আগামী শুক্রবার থেকে দুদলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুহবে।
ফ্লোরিডায় আগের দুই ম্যাচের চেয়ে শেষ ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ছিল একটু ভালো। পাকিস্তান ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮৯ রান। জবাবে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে থেমে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। আগের দিনের রোমাঞ্চকর জয়ের পর এবার মুখ থুবড়ে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটের কানায় লেগে একটি বাউন্ডারি পেলেন রোস্টন চেইস। কিন্তু ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হচ্ছিল না তার। এক বল পরই তুলে নেওয়া হলো তাকে। দলের আশার ভার নিয়ে নামলেন জেসন হোল্ডার। কিন্তু আগের ম্যাচের নায়ক এবার শূন্য রানে বোল্ড দ্বিতীয় বলেই। এরপর শেষের কঠিন সমীকরণে লড়াই আর সেভাবে জমাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুবের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটির পথ ধরে ম্যাচ জিতে সিরিজও নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলের ভিত গড়ে দেন সাহিবজাদা ও সাইম। ৫ ছক্কায় ৫৩ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন সাহিবজাদা, সাইমের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬৬। রান তাড়ায় আলিক আথানেজ ও শেরফেন রাদারফোর্ডের ফিফটির পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থমকে যায় ১৭৬ রানে। আগের দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভিন্ন উইকেটে পরদিন একই পথ বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। এবার দলকে দারুণ শুরু এনে দেন সাহিবজাদা ও সাইম। প্রথম দুই ওভারে দুজনই ছিলেন শান্ত। পরে জ্বলে ওঠেন সাহিবজাদা। পরের তিন ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি ছক্কা। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তোলে পাকিস্তান। সাহিবজাদার রান তখন ২০ বলে ৩১, সাইমের ১৬ বলে ১৬। পাওয়ার প্লের পরও সাহিবজাদার ব্যাটে ছিল একই ছন্দ। ৩৪ বলে পৌঁছে যান ফিফটিতে। সাইমের তাল মেলাতে সময় লাগে একটু। পরে তিনিও জেগে ওঠে ফিফটি করেন ৩৭ বলে। সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তানের হয়ে ৩৩ ম্যাচে সাইমের ফিফটি ছিল একটি। এই সিরিজেই করলেন তিনি দুটি। শামার জোসেফের লো ফুল টসে ক্যাচ দিয়ে সাহিবজাদার বিদায়ে ভাঙে শতরানের জুটি। পরে হোল্ডারের লো ফুল টসেই ফেরেন সাইম। চোটের কারণে ফাখার জামান ছিলেন না। তিনে নেমে ছক্কাপ্রিয় হাসান নাওয়াজ দুই ছক্কায় ৭ বলে করেন ১৫। শামার জোসেফের করা শেষ ওভারে খুশদিল শাহ (৬ বলে ১১*) ও ফাহিম আশরাফের (৩ বলে ১০) ছক্কায় পাকিস্তান তোলে ১৯ রান। শেষ তিন ওভারে তোলে তারা ৪০ রান। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হন সাহিবজাদা। দারুণ বোলিংয়ে সিরিজে সাত উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা পাকিস্তানের নাওয়াজ।