সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে তাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ নিয়ে ভারতের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে কি নাÑ সে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার প্রয়োজন মনে করলে সহযোগিতা নিতে পারে। তবে এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন দেখছি না।
ভারতের পুশইন বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত থেকে পুশইন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ কেউ সে দেশে থাকলে তারা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনবরত পুশইন করে যাচ্ছে।
ভিসা জটিলতা নিরসনের বিষয়ে তিনি বলেন, সার্টিফিকেট প্রদানকারীদের সমন্বয় করা হচ্ছে। ভুয়া কাগজপত্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বিশ্বাস হারানো সহজ, ফেরানো কঠিন। আমরা সেই কঠিন কাজ করছি।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসছেন। বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। বৈঠকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে আলোচনা হবে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, একটা ইস্যু আরেকটা বিষয়কে আটকে রাখবে তা আমরা চাই না। এ সময় উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে ভারত কোনো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে না।