বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৫:১০ এএম

করলা চাষ পদ্ধতি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৫:১০ এএম

করলা চাষ পদ্ধতি

করলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। স্বাদে তিক্ত হলেও বাংলাদেশের সবার নিকট এটি প্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। ১০০ গ্রাম ভক্ষণ যোগ্য করলায় ১.৫-২.০ ভাগ আমিষ, ২০-২৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৮-২.০ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৮৮.৯৬ মিলিগ্রাম খাদ্যপ্রাণ

সি আছে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করলা ভালো জন্মে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পরাগায়ন বিঘিœত হতে পারে। সব রকম মাটিতেই করলার চাষ করা যেতে পারে। জৈব সার

সমৃদ্ধ দো-আঁশ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। জয়পুরহাটের কৃষি উদ্যোক্তা

নওরোজ ফারহান ফামির সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মিনহাজুর রহমান নয়ন

জাত

বারি করলা-১:

জাতটিতে গাঢ় সবুজ রঙের ২৫-৩০টি ফল ধরে (গাছ প্রতি) প্রতি ফলের গড় ওজন ১০০ গ্রাম যা লম্বায় ১৭-২০ সেমি এবং ব্যাস ৪-৫ সেমি। চারা রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে প্রথম ফল তোলা যায়। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ফলন ২৫-৩০ টন পাওয়া যায়।

গজ করলা:

জাতটিতে সবজ রংয়ের ১৫-২০টি ফল ধরে (গাছ প্রতি) প্রতি ফলের গড় ওজন ১৫০-২০০ গ্রাম যা লম্বায় ২৫-৩০ সেমি এবং ব্যাস ৬-৭ সেমি। হেক্টর প্রতি ফলন ২০-২৫ টন (১০০ ১২০ কেজি/শতাংশ) পাওয়া যায়।

জীবন কাল:

মোট জীবনকাল প্রায় চার থেকে সারে চার মাস। তবে জাত ও আবহাওয়া ভেদে কোনো কোনো সময় কম বেশি হতে পারে।

উৎপাদন মৌসুম:

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় করলার বীজ বোনা যেতে পারে। কেউ কেউ জানুয়ারি মাসেও বীজ বুনে থাকেন কিন্তু এ সময় তাপমাত্রা কম থাকায় গাছ দ্রুত বাড়তে পারে না, ফলে আগাম ফসল উৎপাদনে তেমন সুবিধা হয় না।

বীজের হার:

করলা ও উচ্ছের জন্য হেক্টর প্রতি যথাক্রমে ৬-৭.৫ও ৩-৩.৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।

জমি তৈরি ও বপন পদ্ধতি:

উচ্ছে ও করলার বীজ সরাসরি মাদায় (৪০ী৪০ী৪০ সেমি) বোনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি মাদায় কমপক্ষে ২টি বীজ বপন অথবা পলিব্যাগে উৎপাদিত ১৫-২০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হবে। উচ্ছের ক্ষেত্রে সারিতে ১.০ মিটার এবং করলার জন্য ১.৫ মিটার দূরত্বের মাদা তৈরি করতে হবে। মাদা বীজ বুনতে বা চারা রোপণ করতে হলে অন্তত: ১০ দিন আগে মাদা নির্ধারিত সার প্রয়োগ করে তৈরি করে নিতে হবে।

সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ:

পচা গোবর ৮০ কেজি, টিএসপি ৭০০ গ্রাম, ইউরিয়া ৭০০ গ্রাম, এমপি ৬০০ গ্রাম, জিপসাম ৪০০ গ্রাম, দস্তা সার ৫০ গ্রাম, বোরাক্স ৪০ গ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৫০ গ্রাম অক্সাইড।

ফসল সংগ্রহ ও ফলন:

চারা গজানোর ৪৫-৪৫ দিন পর উচ্ছের গাছ ফল দিতে থাকে। করলার বেলায় প্রায় ২ মাস লেগে যায়। স্ত্রীফুলের পরাগায়নের ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। ফল আহরণ একবার শুরু হলে তা দুমাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ফলন। উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উচ্ছে বা করলার হেক্টর প্রতি ফলন যথাক্রমে ৭-১০ টন (৩০-৪০ কেজি/শতাংশ) এবং ২০-২৫ টন (৮০-১০০ কেজি/শতাংশ) পাওয়া যায়।

বীজের ফলন:

সময়মতো সঠিক পরিচর্যা গ্রহণ করলে হেক্টর প্রতি ৩০০-৪০০ কেজি (প্রতি শতাংশে ১.২-১.৬ কেজি) বীজ হতে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!