বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ঘোড়াউত্রা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দরগাহ হাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়াউত্রা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছিল। গত সোমবার স্থানীয় প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের বালু উত্তোলন বন্ধ করে এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার মুক্তি।

জরিমানা ও অভিযানের প্রতিবাদে গতকাল দরগাহ হাটি এলাকায় গিয়াস উদ্দিন ও নিকলী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সোহেলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিকলী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘সোমবার রাতে অভিযান চলাকালে আমি উপস্থিত ছিলাম। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমার পথরোধ করে হামলা চালায়। এরপর আমার লোকজন এসে গেলে আবারো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন এবং দুটি দোকান ভাঙচুর হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

বিষয়টি জানতে চাইলে নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন মিঠু ও সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান হয়েছে। পরে বালুব্যবসায়ীরা একে অপরকে দায়ী করে বিবাদ শুরু করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়, যার ফলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’