জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পাওনা অর্থ এখনো পরিশোধ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাই বাধ্য হয়ে দেশের শীর্ষ দুই ক্রীড়া ফেডারেশনকে পাওনা পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে এনএসসি। বিসিবি ও বাফুফের কাছে গেটমানি (টিকিট বিক্রির) ১৫ শতাংশ এবং প্রচার স্বত্বের ১০ শতাংশ অর্থ পাওনা ক্রীড়া পরিষদের। দুই সংস্থাকে এ নিয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েও পাওনা আদায় না হওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) গতকাল বুধবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে। এ বিষয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব উল আলমকে চিঠি দিয়েছেন এনএসসির নির্বাহী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ৯ এপ্রিল বিসিবিকে ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত গেটমানি ও প্রচার স্বত্ব বাবদ এনএসসির প্রাপ্য অর্থ পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছিল। চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিসিবি থেকে কোনো সাড়া পায়নি এনএসসি। অন্যদিকে, গত ৪ ও ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই টিকিট বিক্রিবাবদ আয় করেছে বাফুফে। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বাফুফে এনএসসিকে গেটমানি ও প্রচার স্বত্ব কোনোটারই অর্থ প্রদান করেনি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান এনএসসি। দেশের সব ক্রীড়া স্থাপনার মালিকানা ও ফেডারেশনের তদারকির দায়িত্ব তাদের ওপর।
১৯৯১ সালের মন্ত্রিপরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রচার স্বত্বের ১০ শতাংশ অর্থ সংস্থাটি পাবে। ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ আদায় না হওয়ায় এনএসসি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে অবহিত করল। ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিসিবি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ২ কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৭ টাকা প্রদান করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দৃষ্টিতে এর চেয়ে বেশি তাদের প্রাপ্য।
টিকিটের অর্থ কিছুটা প্রদান করলেও প্রচার স্বত্বের কোনো অর্থই এখন পর্যন্ত দেয়নি বিসিবি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এনএসসি মনোনীত বিসিবি পরিচালক। বুলবুলের পূর্বে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আরেক সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদও এনএসসি মনোনীত পরিচালক ছিলেন। নিজেদের মনোনীত পরিচালক বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরও বিসিবি থেকে প্রাপ্য হিসাব বুঝে পাচ্ছে না এনএসসি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন