টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চকপাড়া গ্রামের জামিল (২০) তার পিতা সুমন (৪৭) কে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করার অভিযোগে আটক হয়েছেন। ঘটনার স্বীকারোক্তি ২৭ আগস্ট তিনি দিয়েছেন। ঘাটাইল থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহতের বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক খান জানায়, সুমন গ্রামের পাশেই ধলাপাড়া বাজারে ওষুধের ফার্মেসি ব্যবসা করতো। প্রায় বছর চারেক আগে পারিবারিক কলহের জেরে সুমনের স্ত্রীর সাথে সুমনের ছাড়াছাড়ি হয়। কি কারণে বাবাকে জামিল হত্যা করল তা বুঝতে পারছিনা। আমি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। ২০ আগস্ট বুধবার রাতে সুমন ও জামিল একই ঘরে ঘুমাতেন। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকার সুযোগে জামিল বাবা সুমনকে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
পরের দিন জামিল প্রতিবেশীদের জানান, সুমনের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়েছে। তবে লাশের অবস্থা দেখে কিছু প্রতিবেশী সন্দেহ প্রকাশ করেন। ঘটনার তিন দিন আগে জামিল লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পেছনে একটি গর্ত খুঁজে খড়কুটো দিয়ে ঢাকা দিয়েছিলেন। সাত দিন পরে সন্দেহজনক আচরণে প্রতিবেশীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জামিল নিজের দোষ স্বীকার করেন। আর লাশ গুম করতে গর্তটিও খুঁড়েছিলেন তিনি। হত্যাকারি জামিলের স্বীকারোক্তি শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘাটাইল থানা পুলিশ জামিলকে আটক করেন।
নিহতের বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক খান ২৭ আগস্ট বুধবার রাতে ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে ঘাটাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানায়, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, আসামি জামিল থানায় আটক রয়েছে। আসামিকে সকালে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন