কক্সবাজারে র্যাব-১৫-এর বিশেষ অভিযানে নাজিরার টেক বাকখালী নদীর মোহনা থেকে ৪ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৯ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক আ ম ফারুক। তিনি জানান, সাগরপথে মাদকের একটি বড় চালান আসছে এমন সংবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের একটি টিম কক্সবাজার সদরের নাজিরারটেক বাকখালী নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করে। ট্রলারটি তল্লাশি চালিয়ে তেলের ড্রামের ভেতর থেকে ৪ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে ট্রলারটিকে ফিশারিঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- কক্সবাজর পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পেশকারপাড়া বাসিন্দা মৃত কলিম উল্লাহর ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৪৮), চকরিয়া বরইতলি ইউনিয়নের মৃত মোজাফ্ফর মাঝির ছেলে মো. আবু তাহের (৪২), ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোলায়খালী গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. ফিরোজ (৩৮), ঈদগাঁও দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আজিমের ছেলে মো. মোস্তাক আহাম্মদ (৪০), কক্সবাজার সদরের লাহারপাড়া বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত মোজাহের আহাম্মদের ছেলে মো. নবী হোসেন (৩৮), চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের আব্দুল মতলবের ছেলে মো. শাহাব উদ্দিন (৫৫), টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুপ্রাং গ্রামের মৃত মো. মিরাজের ছেলে মো. সেলিম (৬৮), কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের লারপাড়া বাসটার্মিনাল গ্রামের মৃত সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (৬৩) ও করিয়া কোনাখালী লম্বাতলী গ্রামের মৃত গফুর গাজীর ছেলে আবুল কালাম কালু (৭০)।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, জব্দ ট্রলারটির মালিক ও ইয়াবা চালানের মূল হোতা মহেশখালীর মো. বোরহান উদ্দিন। সে পলাতক রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় সাগরসহ বিভিন্ন পথে মাদকদ্রব্য পাচার করে আসছে বলে জানায়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন