সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১১:১৪ এএম

তালায় বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে পেটালেন বিএনপি নেতা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১১:১৪ এএম

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার তালায় চুক্তি ভঙ্গ করে অন্যের কাছে জমি বিক্রি করার অভিযোগ তুলে ভবেন্দ্র দাস (৫৯) নামে এক বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খেশরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ গাজীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভবেন্দ্র দাস (৫৯) নামের এক ব্যক্তি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের ভবেন্দ্র দাস সাড়ে ৯ শতাংশ জমি বিক্রির জন্য প্রায় তিন মাস আগে একই উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল আহাদের সঙ্গে ৬৮ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। জমির মূল্য বাবদ কয়েকবারে আবদুল আহাদ গাজী ২৫ হাজার টাকা ভবেন্দ্র দাসকে পরিশোধ করেন। পরে চুক্তি ভঙ্গ করে জমি অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন ভবেন্দ্র। তারপর মূল্য বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে ভবেন্দ্রকে ডেকে পাঠান বিএনপি নেতা আহাদ। ভবেন্দ্র আহাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ভবেন্দ্র দাসের ভাতিজা স্বপন দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকি ৮ হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভবেন্দ্রকে ছাড়িয়ে আনেন।

ভবেন্দ্র দাস বলেন, নির্ধারিত সময়ে পুরো টাকা না দেওয়ায় তিনি গত ৭ আগস্ট ওই সাড়ে ৯ শতাংশ জমি দ্বিগুণ মূল্যে বালিয়া গ্রামের হারুনের কাছে বিক্রি করেছি। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে শুক্রবার সকালে আব্দুল আহাদ আমাকে ডেকে পাঠান। সকাল ৭টার দিকে আমি তার বাড়িতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে আমাকে পিছমোড়া করে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বেঁধে রাখে।

ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ গাজী বলেন, ভবেন্দ্র আমার সঙ্গে চুক্তি করেও জমি লিখে দিতে টালবাহানা করছিলেন। পরে গোপনে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে তাকে ডাকা হয়। তবে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় তিনিও ভুল করেছেন, আমিও ভুল করেছি। আমার অন্যায় হয়েছে।

তালা থানার খেশরা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!