দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার সব মূল্যসূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের শেয়ারদর। এক্সচেঞ্জটির লেনদেনেও গতি বেড়েছে। মাত্র দুই কার্যদিবস আগে গড়া বছরের সর্বোচ্চ টার্নওভারের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ডিএসইর লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে উঠেছে। গত কার্যদিবস শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২২৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
গতকাল ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২০১টির। বিপরীতে কমেছে ১৪১টির। তবে ৫৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ডিএসইতে আজ মোট ১ হাজার ২৯৬ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন গত বছরের ১১ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। ওই দিন ডিএসইতে ২ হাজার ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
মাত্র দুই কার্যদিবস আগে গত মঙ্গলবার এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ ১৯ হাজার টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হওয়ার মাধ্যমে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড হয়েছিল, যা আজ ভেঙে গেল। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়।
গতকাল ঢাকার এ পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রেনাটা লিমিটেডের শেয়ার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল, টাকায় যার পরিমাণ ২২ কোটি ৬৫ লাখ।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সব মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ২৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৫ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে। আজ লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭০টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন