আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার। কর্মকর্তারা দূরবর্তী এবং দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতার জন্য এ আহ্বান জানান। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
কুনার প্রদেশের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিকম্পের কারণে ভূমিধস হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে শুধু আকাশপথে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব।
এদিকে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ৫০০ জনের আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬। জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর অন্তত আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।
দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াতপুর, মানোগি ও চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ অনেক দুর্গম এলাকা রয়েছে। সেসব এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এবং উদ্ধারকারী দলগুলো সেখানে পৌঁছাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সাওকি জেলার দেবা গুল এবং নুর গাল জেলার মাজার দারায় ভূমিধসের কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে দেশটিতে আঘাত হানা অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন এবং কেন্দ্রীয় ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলো থেকে সহায়তা দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। মানুষের জীবন রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন