রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের অফিসের সামনে দলটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা ঘটনাকে ‘মব’ বলতে নারাজ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর রক্তাক্ত ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আইএসপিআরের বিবৃতির প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, তারা বলেছে আমাদের ওপর ‘মব’ হামলা হয়েছে। কিন্তু মব করেছে কারা? আমরা আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করছিলাম, তখন সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য হামলা চালায়। এটিকে মব বলা যায় না। যদি মব হয়েই থাকে, তাহলে সেই মব সৃষ্টি করেছে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করে তিনি দাবি করেন, তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ভেতরে ঢুকে নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রয়েছে এই বাহিনীর। অথচ কতিপয় ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর কাকরাইলে গত শুক্রবার রাতে দুটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন