সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে লিয়াকত আলী বাদল নামের ওই সাংবাদিককে নগরীর কাচারী বাজার থেকে তুলে নিয়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। সিটি করপোরেশনের অটো লাইসেন্স নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সিনিয়র সাংবাদিক বাদলকে অপহরণ করে তুলে এনে মারধর করায় ফুঁসে উঠেছে রংপুরের সাংবাদিকরা।

লিয়াকত আলী একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি দৈনিক পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। লিয়াকত আলী বাদলের অভিযোগ, রকি নামের এক ব্যক্তি ও তার লোকজন তাকে (লিয়াকত) তুলে নিয়ে মারধর করেছেন। সংবাদ প্রকাশের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সামনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও পেশাজীবী সাংবাদিকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে রসিকের কর্মচারীরা তাদের ওপর হামলা চালান এবং সিটি করপোরেশন থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুজন আহত হন। গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনে এ ঘটনা।

নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলের দাবি, রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়ায় দুর্নীতিসংক্রান্ত একটি সংবাদ করায় তাকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনারের (রসিক) নির্দেশে সন্ত্রাসী রকি ও তার লোকজন আমাকে আজ কাচারী বাজার থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে। পরে সিটি করপোরেশনে নিয়ে গিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চেম্বারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং জোর করে ক্ষমা চাইতে বলে। আমি অন্যায় করিনি, তাই ক্ষমা চাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই।’

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান বলেন, বাদল একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রংপুর বিভাগের সাংবাদিক সমাজের সদস্যসচিব। তাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন হবে ।

আরপিইউরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক বলেন, ‘অনিয়মের নিউজ করলেই যদি সাংবাদিককে এভাবে মারদর করা হয় তাহলে দেশের কি পরিবর্তন হলো? সাংবাদিক নির্যাতনের যদি দ্রুত ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে একজনের নাম জানতে পেরেছি।’