কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ এর বিচারকার্য শেষ করেছেন অভিনয়শিল্পী এলিনা শাম্মী। তার রেস না কাটতেই নতুন সিনেমার খোঁজ দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন একটি পোস্টার। লাল চাদর জড়ানো এক ব্যক্তির রহস্যজনক স্থিরচিত্র বাড়িয়েছে আগ্রহ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাম্মী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সিনেমার নাম ‘দুঃসাহস’। বাগেরহাটের স্থানীয় গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। বর্তমানে সিনেমাটির শুটিং চলছে। এখানে আমি একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন নাজির সাগর। আমি বাগেরহাটের মেয়ে বলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।
জানা গেছে, ‘দুঃসাহস’ সিনেমাটির শুটিং চলছে বাগেরহাটের বিভিন্ন অঞ্চলে। শাম্মী ইতোমধ্যেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। চলতি বছরই সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
অভিনয়ের অন্যান্য ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী জানালেন, সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘ফুলগাঁও’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। শিগগিরই মুক্তি পাবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আতরবিবিলেন’। এ সিনেমায় আমি খলচরিত্রে অভিনয় করেছি। এরই মধ্যে সিনেমার প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, প্রথমবারের মতো ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন শাম্মী। সিলেট অঞ্চলের বিচারক ছিলেন তিনি। সে অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যে সময় কুঁড়ি ছিলাম সে সময় ‘নতুন কুঁড়ি’ আয়োজিত হতো। এখনকার কুঁড়িদের বাছাই করে আনার জন্য বিচারক হয়েছি। চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক রকম রিয়েলিটি শো দেখা যায়। কিন্তু শিশুদের জন্য কোনো আয়োজন হয় না। এর মাধ্যমে একঝাঁক সূর্যমুখী ফুটবে। অভিভাবকদের আন্তরিকতার অভাব ছিল না। সিলেট বিভাগের শিল্পকলায় আয়োজন করা হলেও বিভাগের অন্যান্য জেলার প্রতিযোগীও অংশগ্রহণ করেছে।
অভিনয়, আবৃত্তি, গল্প বলা ও কৌতুক এ চারটি অংশের বিচারক ছিলেন শাম্মী। তার বিশ্বাস শিল্প-সংস্কৃতির মন্দাভাব কাটিয়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা।
প্রতিযোগিতার বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ তুললে শাম্মী বলেন, আমি নতুন কুঁড়ির প্রতিযোগিদের বিচার করতে গিয়েছি, বিচারকদের নয়। তাদের বিষয়ে বলতে পারব না। একটি কথা বলতে পারি, নবীন বিচারকদের সঙ্গে অভিজ্ঞ বিচারকরাও ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন