- মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও শিবিরের নেতাকর্মীসহ আসামি ছিলেন ১১৪ জন
- আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে বেকসুর খালাস দেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১০ সালের বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় ১০৫ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত আদালত-১-এর বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ রায় দেন।
মামলার ১১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আছেন ১০৫ জন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা ছিলেন অনুপস্থিত।
এসব নিশ্চিত করে আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কানিজ ফাতিমা বলেন, ১০৫ জন আসামির মধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন। বাকিদের বিচার শুরু হয়। তবে সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিলেন তারা কারো নাম নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। একজন একক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেননি তারা। ফলে এ মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনের মরদেহ ম্যানহোলে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আদালতে ১ হাজার ২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরীর তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলাম, শিবিরকর্মী রুহুল আমিন ও বাপ্পীসহ ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন