সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ডালিম হোসাইন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

রঙিন তরমুজে স্বপ্ন রঙিন

ডালিম হোসাইন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

রঙিন তরমুজে স্বপ্ন রঙিন

দেশের আধুনিক কৃষির সফল রমজান আলী। বিএসএস শেষ করে চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে ২০০৯ সাল থেকে কৃষিতে হাতেখড়ি নেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গৌরবরদী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে রমজান আলী। বাবা কৃষক হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই কৃষিতে আগ্রহী ছিলেন তিনি।

জানা যায়, ২০১৪ সালে ঢাকা বিভাগের প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন তিনি। টমেটো ও চিচিঙ্গা চাষের মাধ্যমে তার এই পদ্ধতির যাত্রা শুরু হয়। এরপর দেশি ও বিদেশি সবজি ও ফল চাষেও আগ্রহী হন। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহার করে তিনি আবহাওয়া ও বাজারদর অনুযায়ী আধুনিক চাষে ফসল উৎপাদন করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছর গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন রমজান আলী। ৫ দশমিক ৫ বিঘা জমিতে মাচা ব্যবহার করে কালাচাঁন ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ করছেন। হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ থোকায় ঝুলে আছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এসব তরমুজ বাজারে আসবে। পাশাপাশি পুকুরপাড়ে করলা ও লাউও চাষ করেছেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।

রমজান আলী বলেন, ‘আমি এসএসসি পরীক্ষার আগে থেকেই কৃষিতে আগ্রহী ছিলাম। চ্যালেঞ্জ নেওয়ায় ভালো লাগে। গতানুগতিক পদ্ধতি ছাড়িয়ে আধুনিক চাষ শুরু করেছি। উন্নত বীজ রোপণ করে ফসল উৎপাদন করি। ইউটিউব ও কৃষি অফিসের পরামর্শে সাফল্য পেয়েছি।’ তিনি শীতকালীন টমেটো, ফুলকপি, স্কোয়াশ, শসা, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করেন। বর্ষাকালে তরমুজ, করলা ও লাউ উৎপাদন করেন। তার উৎপাদিত ফসল যাত্রাবাড়ী ও গাউছিয়া কাঁচাবাজার ও ফলের আড়তে বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি বা প্রবাসে যাওয়ার চিন্তা না করে কৃষিতে নিয়োজিত হয়েছি। এটি হালাল উপার্জনের একমাত্র স্বাধীন পেশা। আধুনিক কৃষি থেকে মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা আয় করি। অল্প বিনিয়োগে দ্বিগুণ লাভ সম্ভব।’ তিনি ঢাকা বিভাগের মালচিং চাষে প্রথম চাষি বলে দাবি করেন। তার উদাহরণ দেখে স্থানীয় ও অন্যান্য এলাকার কৃষকরা এই পদ্ধতিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। অল্প সময়ে কম খরচে বেশি লাভ সম্ভব। প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচে দুই মাসে লাখ টাকার ওপরে আয় করা যায়। মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত রমজান আলীকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘রমজান আলী তরমুজ চাষে চাষিদের জন্য অনুকরণীয়। তার দেখানো পথে চাষ করলে লাভবান হবেন। আমরা সার, বীজ ও কীটনাশকসহ পরামর্শ দিচ্ছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক বলেন, ‘রমজান আলীর উদ্যোগ আমাদের কৃষির নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। বর্ষাকালে মাচায় তরমুজ চাষ উদ্ভাবনী। অনাবাদি বা জলাবদ্ধ জমি ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় বাজারে চাহিদা বেশি, ফলে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!