একটা সময় ছিল যখন তারা সবাই প্রতিনিয়ত সিনেমার শুটিং-এ ব্যস্ত থাকতেন। বিশেষত বিএফডিসির কোনো না কোনো ফ্লোরে তাদের নতুন নতুন সিনেমার মুটিং হচ্ছে, একজনের সঙ্গে আরেকজনের প্রতিনিয়তই দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখন তারা কেউই আর আগের মতো সিনেমায় কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত নেই। কেউ বা আছেন দেশের বাইরে, কেউবা করছেন চাকরি, কেউ বা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ বা পরিবার নিয়ে ব্যস্ত। যখন সবাই সিনেমাতে কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন তারা আবার সময় করে কারো না কারো বাসায় পারিবারিক আড্ডায় মেতে উঠতেন। কিন্তু এখন আর তেমনটা হয়ে উঠছে না।
তবে তেমন আড্ডায় যে আবার মেতে উঠতে চান না এমনটাও নয়। সময় সুযোগ পেলে আবারও তার গল্পে আড্ডায় মেতে উঠতে চান। এমনটাই জানালেন চিত্রনায়ক ওমরসানী, অমিত হাসান, আমিন খান, চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও পূর্ণিমা। একটা সময় ছিল যখন বিশেষত ওমরসানী-মৌসুমীর বাসাতেই গল্প আড্ডা জমে উঠত। আর তেমনি একটি আড্ডা সর্বশেষ ওমরসানী-মৌসুমীর রাজধানীর প্রিয়াঙ্কা সিটির বাসাতেই জমে উঠেছিল। যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন ওমরসানী-মৌসুমী, আমিন খান, অমিত হাসান ও পূর্ণিমা।
ওমরসানী বলেন,‘ সত্যি বলতে কী আমিত আসলে এখন একটি প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছি। পাশাপাশি নিজের রেস্তোরাঁ নিয়েও ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছি। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপের উপদেষ্টা হিসেবে খুব ব্যস্ত সময় যেমন কাটে, অনুরূপভাবে চাপওয়ালার শ্বশুরবাড়ির রেস্টুরেন্টের দুটি শাখা নিয়েও ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় যে কখন পার হয়ে যায় টেরই পাই না। ভালো আছি , আলহামদুলিল্লাহ।
অবশ্যই ফেলে আসা দিনগুলো মিস করি। অনেকের সঙ্গে দেখা হয় না বহুদিন।’ প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘সত্যিই ফেলে আসা দিনগুলো সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো খুব মিস করি। মিস করি আমার বাসার আড্ডাগুলো।’ অমিত হাসান বলেন, ‘কখনো আমেরিকা কখনো দেশে থাকি। দেশে থাকাবস্থায় দাওয়াত পেলে আমি যুক্ত হই গল্প আড্ডায়। তবে এটা সত্যি আগের মতো মুখরিত আড্ডা আর দেওয়ার সুযোগ হয়ে উঠবে কী না জানি না।’ পূর্ণিমা বলেন,‘ জীবনের স্বর্ণালি সময় কাটিয়েছি চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্র পরিবারের কারো সঙ্গে দেখা হলে কথা হলে মন ভালো হয়ে যায়। এখন তো আমাদের সময়ের শিল্পীরা কাজই করছেন না। কাজের বাইরেও যে আমরা আড্ডা দিব সেই সুযোগটিও নেই।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন