গোপালগঞ্জে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি পাঁচ বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি, যার ফলে এখানে ট্রমা রোগীদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন কেবল জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগীদের সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাটিয়াপাড়া এলাকায় ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয় ১২ কোটি টাকার ব্যয়ে। জমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয় এই অর্থ। মূল উদ্দেশ্য ছিল মহাসড়কে ঘন ঘন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও কেন্দ্রটি এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সেখানে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে সেন্টারে কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন নার্স ও একজন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। ট্রমা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও এখনো কেউ যোগ দেননি।
স্থানীয়রা জানান, এত বড় একটি অবকাঠামো বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকায় ভবনের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ট্রমা সেন্টারের অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী অব্যবহৃত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে ট্রমা সেন্টারটি চালু করা যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া গেলে দ্রুত এটি চালু করে কার্যকর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব।’
এলাকাবাসীর মতে, ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে শুধু মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতরাই নয়, আশপাশের এলাকার মানুষও দ্রুত চিকিৎসা সেবা পেতেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশে প্রায়ই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। আহতদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ না থাকায় অনেক সময় তাদের প্রাণহানি ঘটে। তাই গোপালগঞ্জবাসী দ্রুত এই ট্রমা সেন্টারটি চালুর দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন