শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ আশ্রয়ণকেন্দ্র

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে  জরাজীর্ণ আশ্রয়ণকেন্দ্র

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র গাছাবাড়ী আশ্রয়ণকেন্দ্র এখন জরাজীর্ণ ও বসবাসের অযোগ্য অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ঘরের ছাউনি ও বেড়া নষ্ট, অনিরাপদ স্যানিটেশন, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এমনকি মাদক বেচাকেনার মতো ঘটনাও ঘটছে সেখানে, ফলে হতাশ আশ্রিত পরিবারগুলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জলছত্র গাছাবাড়ী মৌজায় ধরদইরা এলাকায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য এ আবাসনটি নির্মিত হয়। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন এ প্রকল্পে ৬টি ব্যারাকে মোট ৬০টি পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। পানি সরবরাহের জন্য দুটি টিউবওয়েল ও হাফ-পাকা টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটির সংস্কার হয়নি। ঘরগুলোর টিন মরিচা পড়ে গেছে, ছাউনি ও বেড়া ভেঙে গেছে, দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন ঘরের ছিদ্র বন্ধ করতে বাসিন্দারা পলিথিন, কম্বল ও চটের বস্তা ব্যবহার করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি ঘরই একই দুরবস্থায়। ঘরের ছাউনির মরিচা ধরা টিনের ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পলিথিন ও কম্বল বিছিয়ে তার ওপর ইট চাপা দেওয়া। বৃষ্টির সময় পানি ঢুকে ঘর ভেসে যায়, শীতে ঠান্ডায় কাবু হয় পরিবারগুলো। টয়লেট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, পরিষ্কার পানির অভাব চরম। চিকিৎসা ও শিক্ষার সুব্যবস্থা না থাকায় অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
বাসিন্দা রাবিয়া বেগম বলেন, ‘বৃষ্টির রাতে ঘুমাতে পারি না। ভিজে ভিজে রাত কাটাতে হয়। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাও ব্যাহত হয়।’
আরেক বাসিন্দা ফরমান আলী জানান, ‘২৫ বছর ধরে আছি এখানে। ঘর মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। নিজেদের সামর্থ্যও নেই ঠিক করার।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এখানে মাদক বিক্রি ও বহিরাগতদের উৎপাত বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বাইরের লোকজন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে এসে বসবাস করছে, যাদের নাম বরাদ্দ তালিকায় নেই। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি ফজলুল হক মাদকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একসময় সবাই আশা করেছিল, ভালোভাবে এখানে থাকতে পারবে। কিন্তু ২৫ বছরে সেই আশা পূরণ হয়নি। আমাদের ব্যবহারের জন্য যে পুকুর ছিল, সেটিও স্থানীয় এক নেতা দখল করে ভরাট করেছেন।’ ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পটির কোনো সংস্কার হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েও ফল পাইনি।’
অরণখোলা ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া জানান, ‘আশ্রয়ণ কেন্দ্রের জমি ও ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর ভূমি অফিসের আর হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না। তাছাড়া এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগও পাইনি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!