বঙ্গোপসাগর থেকে এক টানে ১৪০ মণ ইলিশ নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়েছে একটি ট্রলার। গতকাল শুক্রবার সকালে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ‘সাইফ ফিশ’ আড়তে মাছগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। ডাকের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি হয়।
জানা গেছে, পাথরঘাটা মৎস অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে।
এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল বলেন, ‘আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল ফেলার পর রাত ৮টার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। রাত ৮টা থেকে জেলেরা জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে ওঠানো শেষ হয়।’
সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাক্সিক্ষত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে আগের মতন জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়বে। সেই সঙ্গে ফিরে আসবে সাধারণ জেলেদের সুদিন।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্চেন্ট ব্যবসায়ী ও আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছেনÑ এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা মেলেনি আমাদের বিএফডিসিতে। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন