প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এদিন বিকেলে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, ‘পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের ওপর পড়ে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল শিশু।
শফিকুল আলম বলেন, এই দুর্ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য গত ২৯ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। গতকাল কমিটির প্রধান লেফটেনন্ট জেনারেল কামরুল হাসান প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত কমিটি বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী, আক্রান্তসহ ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কমিটি ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করে ৩৩টি সুপারিশমালা দিয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে বিমান বাহিনীর প্রাথমিক সব প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে পরিচালনার সুপারিশ এসেছে।
প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোনের ওই ভবন রাজউকের বিল্ডিং কোড নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে কমপক্ষে তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা ছিল, সেখানে ছিল মাত্র একটি। এখানে আরও সিঁড়ি থাকলে হতাহতের পরিমাণ কম হতো। বরিশাল ও বগুড়ায় বিমানবন্দরের রানওয়েগুলো আরও সম্প্রসারণেরও সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।’
