দুর্নীতির মামলায় জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদের ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নামে খোলা ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৯ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫৬ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুদক মামলা করে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কাজী আনিসের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জরুরি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর ওই সরকারের সময়কার সুবিধাভোগী বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিল্পগোষ্ঠীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় জেমকন গ্রুপের অর্থপাচারের বিষয়েও অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি। দুদক গত এক বছরে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থপাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন