বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্জ্য নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। আমাদের এমনও সময় আসবে, যখন বর্জ্য সংগ্রহ করতে সিটি করপোরেশন আপনাকে উল্টো টাকা দেবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজীর দেউড়ির আইসিসিতে মেয়র হওয়ার এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস হবে, গ্রিন ডিজেল হবে। আপনারা বর্জ্য বিক্রি করবেন, আমরা টাকা দেব। সেই সময় চলে আসবে।’
মেয়র বলেন, ‘নগরে ৩ হাজার টনের বেশি বর্জ্য তৈরি হয়। ২ হাজার ২০০ টন আমরা সংগ্রহ করতে পারি। আমি ডোর টু ডোর প্রকল্প চালু করেছি এ কারণে যে, সব বর্জ্য যেন আমরা সংগ্রহ করতে পারি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এ বছর ৫০-৬০টি বড় বড় রাস্তা উপহার দেব। ১০টি নাগরিক সেবা নিয়ে আমাদের চট্টগ্রাম অ্যাপস উপহার দেব ডিসেম্বরে। সবকিছুই আপনাদের জন্য। নগরবাসীর জন্য।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখ পরিবারকে নাগরিক কার্ড দেওয়া হয়েছে। বেকারদের জন্য আইসিটি করব কালুর ঘাটে। চর বাকলিয়ায় পর্যটন টাউন করব, সেখানে অনেকে চাকরি পাবে। মনোরেল প্রকল্প শুরু হলে ৮-১০ হাজার বেকারকে চাকরি দিতে পারব।’
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘আমাদের জেলা পুলিশ লাইনে কোমরপানি হয়ে যেত, প্যারেড করা যেত না। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়েছে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ ছিল পানি নিষ্কাশনের পথে অবৈধ দোকান।’
বিশেষ অতিথি ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে ভালো কোনো পার্ক নেই। ঢাকার রমনা পার্কের মতো পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও অ্যাকুয়ারিয়াম দেখতে চাই। বন্দর নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যক্তিস্বার্থে বাধা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমি চট্টগ্রামের মানুষ নই, কিন্তু চট্টগ্রামকে আমরা ভালোবাসি।’
চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মনোয়ারা বেগম। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি।
অনুষ্ঠানে মেয়রের এক বছরের কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও উন্নয়ন প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মেয়র প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম উদ্বোধন করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন