ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে হলুদের চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। ৮০-এর দশকে কৃষক ব্যাপকহারে হলুদের চাষাবাদ হতো। কিন্তু ওই সময়ে হলুদের দাম না থাকায় ধীরে ধীরে হলুদের চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কৃষক। তবে দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে হলুদের চাহিদা বাড়ছে। বাজারে দামও ভালো পাওয়ায় হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। হরিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৫ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছিল, আর এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ হেক্টর হয়েছে। এতে গত বছরের চেয়ে এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। হলুদের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় হরিপুর উপজেলায় কৃষক হলুদের চাষাবাদে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার হলুদ চাষি কৃষক সাগর বলেন, এক সময় হলুদের চাহিদা এবং দামও ছিল না তাই আমি হলুদ চাষ করতাম না। বাজার থেকেই কিনে চাহিদা মেটাতাম। বাজারে এখন হলুদের চাহিদা ও দাম বাড়ছে। আমি এবার ৪০ শতক জমিতে হলুদের চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আশা করি ভালো ফলন পাব। মুদি দোকান্দার জুয়েল বলেন, বর্তমান বাজারে শুকনো হলুদের সুটি ২শ’ টাকা কেজি এবং হলদের গুঁড়া ২শ’৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হরিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুবেল হুসেন বলেন, আবাদি ও অনাবাদি এবং পতিত জমিসহ ৩০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ২৫ হেক্টর। এ বছর তা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৩০ হেক্টর। হলুদ ফসলের আয়ুকাল এক বছর। বেলে দোআঁশ ও ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের চাষ ভালো হয়। হলুদের জাতভেদে প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন হতে পারে ২০ টন। বর্তমান বাজারে হলুদের দাম ও চাহিদা বাড়ায় এ উপজেলায় হলুদের চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন