সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৪৪ এএম

মেয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে বাবার অনশন

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৪৪ এএম

মেয়ে হত্যার বিচারের  দাবিতে বাবার অনশন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিজ কন্যা লামিয়া আক্তার মুন্নির (১৫) হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনশনে বসছেন মোশারফ হোসেন হাওলাদার। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশনে বসেন তিনি। দুপুর দুইটার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম আইনগত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জুস পান করিয়ে মোশারফ হোসেনের অনশন ভাঙান। এর আগে মোশারফ হোসেন একই দাবিতে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। মোশারফ হোসেন মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে।

মোশারফ হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ ১০ম  শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়ে লামিয়া আক্তার মুন্নি নৃশংসভাবে খুন হয়। মেয়ে হত্যার বিবরণ হিসেবে তিনি জানান, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার সোনি সুন্দরী হাওয়ায় তৎকালীন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার লোলুপ দৃষ্টি দেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে দিয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে তার ঘরে এক ধরনের রক্ষিতা হিসেবে রেখে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী দাউদখালি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই পরকীয়া বৈধ করতে তার মেয়ে মুন্নিকে শহিদুল মেম্বারের ছেলে হাসানের সঙ্গে কথিত বিয়ে দেন। মোশারফ হোসেনের দাবি তার মেয়ের কোনো বিয়ে হয়নি। এক সময় সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বার এলাকা থেকে পালিয়েও যায়। তিনি ধারণা করছেন সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বারের অবৈধ কর্মকা- তার মেয়ে মুন্নি দেখে ফেলায় নৃশংসভাবে খুন হয় তার মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, শহিদা আক্তার সোনি এবং দাউদখালি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে হাসান এ হত্যাকা-ে জড়িত। পুনরায় মামলা চালু করে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ের হত্যাকা- সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা মোশারফ হোসেনকে বিচারপ্রাপ্তিতে সর্বাত্মক আইনি সহযোগিতা করব।’

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!