বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, রাজধানী প্যারিসসহ দেশজুড়ে রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। ‘সবকিছু বন্ধ করে দাও’ স্লোগানে গড়ে ওঠা আন্দোলন অচল করে দিচ্ছে জনজীবন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে সরকার। এরইমধ্যে অর্থনৈতিক সংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতা ফ্রান্সকে ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চয়তার দিকে। নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা। অনাস্থা ভোটে হেরে গত সোমবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। গতকাল (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ঘনিষ্ঠ সেবাস্তিয়ান লেকোর্নুর নাম প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। এরপরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ‘ব্লক এভরিথিং’ বাংলায় যার অর্থ ‘সবকিছু বন্ধ করে দাও’।
বুধবার, সকালে রাজধানী প্যারিসের সড়কে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকজনকে সেখানে আটক করা হয়। গোটা দেশে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে সরকার। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোও সরকারের কঠোর বাজেট পরিকল্পনার প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বিরোধীদলগুলো বলছে, ফ্রান্স এখন গভীর সামাজিক ও গণতান্ত্রিক সংকটে ডুবে যাচ্ছে। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গাড়িচালকদের। আন্দোলনকারীরা দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে চায় অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় এক লাখ মানুষ এতে অংশ নিতে পারে এবং সহিংসতার আশঙ্কায় পুলিশ প্রস্তুত থাকবে। আগামী সপ্তাহে আরও সমন্বিত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। তারা বলছে, সরকারের বাজেট পরিকল্পনা অত্যন্ত ‘নৃশংস’ যা ফ্রান্সকে গভীর সামাজিক ও গণতান্ত্রিক সংকটে ডুবিয়ে দিচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও চাপ বাড়ছে দেশটির ওপর।