রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্বপ্নবাজ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির স্বপ্নপূরণে সদা সচেষ্ট বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

স্বপ্নবাজ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির স্বপ্নপূরণে সদা সচেষ্ট বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশের মেরিটাইম-সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান, আহরণ ও যথাযথ ব্যবহার দ্বারা ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ অবদান রাখা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নের সুবিধা আপামর জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ঢাকাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকা অর্জন করে। এ ছাড়া মহীসোপানে ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর মালিকানা লাভ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টর তথা অর্জিত সমুদ্র এলাকায় সামুদ্রিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, তেল গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন নৌ যোগাযোগসহ বিস্তর ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ওই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন এবং দেশের মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর ঢাকাস্থ পল্লবী, মিরপুর-১২-তে দুটি ভাড়াকৃত ভবনে সীমিত পরিসরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে পরিচালনা করছে। এ অস্থায়ী ক্যাপাসে ওশানোগ্রাফি অ্যান্ড হাইড্রোগ্রাফি, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, পোর্ট অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট, ফিশারিজ, মেরিটাইম ল’ প্রভৃতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এসব বিষয় ছাড়াও মেরিন বায়োটেকনোলজি, হার্বার অ্যান্ড রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম সায়েন্স, পোর্ট অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট (অনলাইন প্রোগ্রামসহ) প্রভৃতি ১০টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া দেশের মেরিনার ও মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শর্ট সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ওশানোগ্রাফি ল্যাব, হাইড্রোগ্রাফিক ল্যাব, মেরিন ফিশারিজ ল্যাব, বায়োটেকনোলজি ল্যাব, কম্পিউটারি ল্যাব প্রভৃতি বেশকিছু ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার কলেবর স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের পর আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিজনেস ইনকিউবেটর স্টার্ট আপ ব্লু প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এরই মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার ধারণা উদ্ভাবন করেছেন এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত গবেষণার জন্য, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষণা কার্য পরিচালনা, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বোরি),  কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্য নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি রিসার্চ ভেসেল ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম, পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, গাজীপুর তাদের শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা পরিচালনা ও সার্টিফিকেট প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ওই ৭টি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক (পাস) কোর্সটি বিশ্বদ্যিালয়ে অধিভুক্তির পর ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে উন্নীত হয়েছে, যা একাডেমির ক্যাডেটদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। তাদের বর্তমান সার্টিফিকেট ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বীকৃতি পাচ্ছে এবং মেরিনারদের মূল্যায়ন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচ্য।

এ ছাড়া মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের জন্য বিদেশ নির্ভরতা এড়িয়ে দেশেই অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে প্রায় সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়টি ঢাকাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সীমিত পরিসরের কারণে নানাবিধ অসুবিধা ও অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকায় মিরপুর ডিওএইচএসে ৩টি ভবন ভাড়ায় গ্রহণ করে ২টি ছেলেদের জন্য ও ১টি মেয়েদের জন্য হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই ৩টি হলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের ঢাকায় আবাসনের ব্যবস্থা এবং অস্থায়ী ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম জেলার বন্দর-চান্দগাঁও থানাধীন হামিদচরে কর্ণফুলী নদীর তীতে ১০৬.৬৬ একর জায়গায় নির্মাণাধীন রয়েছে।

ওই স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে কয়েকটি ভবন হল হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রায় ৯৫ শতাংশ বা ততোধিক শিক্ষার্থীদের আবাসনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী ২০২৬ সালের জুন মাস নাগাদ স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় একটি একটি বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পঠিত বিষয়গুলো গতানুগতিক বিষয়গুলোর বাইরে একটি বিশেষ ক্ষেত্র মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে প্রতিনিধিত্ব করে। দেশে এবং বিদেশে মেরিটাইম সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের এক বিশাল সুযোগ রয়েছে কিন্তু সে তুলনায় দেশে এই সংশ্লিষ্ট দক্ষ জনবল অপ্রতুল।

ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আসন্ন পঞ্চম শিল্পবিপ্লব, গ্লোবালাইজেশন, ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশন এবং স্মার্ট টেকনোলজির এই যুগে শিক্ষার্থীদের এসব প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর করে উপযুক্ত ও দক্ষ করে গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), চ্যাটজিপিটি, রোবটিকস, ড্রোন, স্মার্ট সিস্টেম, মেশিন লার্নিং প্রভৃতি উন্নতর প্রযুক্তিগুলো সাগরে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ, নিরাপদ জাহাজ চলাচলে ও ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সেই সঙ্গে সাগরে উন্নত গবেষণা, প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উন্নত দেশে বন্দর ব্যবস্থাপনা, শিপ ডিজাইন ও নৌ চলাচল, সাগরে সম্পদ অনুসন্ধান প্রভৃতি কার্যক্রমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর কাক্সিক্ষত সুফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সেসব কর্মপরিকল্পনা হতে শিক্ষা নিয়ে প্রযুক্তি ও এক্সপার্ট জনগণের সহায়তায় এ দেশে সেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শুধু দেশেই নয় বহির্বিশ্বে একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, সৃষ্টিশীল, জ্ঞানী চৌকস ও আন্তর্জাতিক মানের মেরিটাইম পেশাজীবী হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বহুমুখী কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, মালয়েশিয়া প্রভৃতিসহ অন্যান্য দেশের প্রায় ২৫টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা, প্রকাশনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রেরণ, প্রযুক্তি সহায়তাসহ নানাবিধ বিষয়ে একযোগে কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা কোর্স পরিচালনা, প্রতিবছর মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি সংযোগ স্থাপিত হয়। যার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে ইনস্টিটিউট অব বে অব বেঙ্গল অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমসহ মেরিন প্রফেশনালদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে পোর্ট অ্যান্ড শিপিং স্টাডিজ শীর্ষক শর্ট সার্টিফিকেট কোর্সের কয়েকটি ব্যাচ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর, ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিমরাড), কোস্টগার্ড ও বিশ্বদ্যিালয়ে শিক্ষার্থী সমেত চীনের ন্যাশনাল ওশান টেকনোলজি সেন্টারের (এনওটিসি) সহযোগিতায় মেরিন স্পেশিয়াল প্ল্যানিং শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নেদারল্যান্ডসের নাফিক প্রকল্পের মাধ্যমে ২টি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করে যার মাধ্যমে শিক্ষকের পিএইচডি, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, দেশের কয়েকটি পোর্ট ও মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানে মেরিটাইম সার্ভে, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানে ভিজিট, যৌথ সেমিনার এবং ওয়েবিনার আয়োজন প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের University of Portsmouth-এর সঙ্গে যৌথ অনলাইন কোর্স পরিচালনা এবং জার্নাল প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট প্রকৃত উন্নয়ন সাধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের বিভিন্ন মেরিটিাইম স্টেকহোল্ডার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, রিসার্চ গ্র্যান্ট, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও স্পন্সরশিপসহ সার্বিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি নতুন ভাইস চ্যান্সেলর যোগ করত, এরই মধ্যে Computer Science and Engineering, Electrical & Electronics Engineering, Control Engineering, Robotics & Mechatronics, Telecommunication Engineering cÖf„wZ †cÖvMÖvg PvjyKib, Artificial Intelligence, Webpage Design, Graphics Design, AutoCAD, Machine learning, Cyber Security, Driving Course, Welding  প্রভৃতি প্রোগ্রাম চালুকরন, অৎঃরভরপরধষ ওহঃবষষরমবহপব, ডবনঢ়ধমব উবংরমহ, এৎধঢ়যরপং উবংরমহ, অঁঃড়ঈঅউ, গধপযরহব ষবধৎহরহম, ঈুনবৎ ঝবপঁৎরঃু, উৎরারহম ঈড়ঁৎংব, ডবষফরহম প্রকৃতি কোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহন করেন। তার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের, তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত করে তৈরি করা। বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের একটি বৃহৎ বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দেশে এবং বিদেশে প্রতিনিয়ত মেরিটাইম সেক্টরে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এ ছাড়া অর্জিত সমুদ্র সীমায় প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও নিরাপদ নৌ চলাচল, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ এবং ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হবে। বিধায়, এ সেক্টরে বাংলাদেশের জনবলের কর্মসংস্থান, অবকাঠমো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক অপার সম্বাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে দক্ষ জনবল তৈরি, উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উচ্চতর ও কার্যকর গবেষণা একান্ত জরুরি। সে লক্ষ্য অর্জনে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি রোধকল্পে স্যাটেলাইটের ব্যবহারের মাধ্যমে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়েও গবেষণার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যার মাধ্যমে উপকূলীয় মানুষের জনজীবন ও সম্পদ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। সমুদ্র থেকে কীভাবে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরন, বিদ্যুৎ তৈরি, ওষুধ শিল্প সমৃদ্ধকরণ, বিশুদ্ধ পানির জোগান, বন্দর প্রতিষ্ঠা, নৌযান তৈরি, অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, মৎস্য, ট্যুরিজম প্রকৃতি সার্বিক মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রাখার লক্ষ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর। সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার এই সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশে-বিদেশে সুযোগ সম্প্রসারণ, গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি উম্ভাবন, ড্রোন, রোবটিক্স প্রভৃতির মাধ্যমে সাগরে তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে নানাবিধ শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার পরিকলপনা, বিদেশি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ ও সহায়তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানসম্পন্ন উন্নত মেরিটাইম শিক্ষার বিস্তার এবং এই সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত মেরিটাইম বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। এসব মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের একযোগে কাজ করা ও পরিকল্পনা  গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!