রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ১০:১২ এএম

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের পরও সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে থাই-কম্বোডিয়া

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ১০:১২ এএম

সীমান্তে টহলরত থাই সেনাদল। ছবি-সংগৃহীত

সীমান্তে টহলরত থাই সেনাদল। ছবি-সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েও কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড দুই দেশই সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে । তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে। এমনকি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ অভিপ্রায় দেখতে চায়। পোস্টটি ট্রাম্পের স্কটল্যান্ড সফরের সময় করা একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের প্রতিক্রিয়া, যেখানে ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না।

অপরদিকে, শনিবার যুদ্ধবিরতিতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় কম্বোডিয়া।শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ‘অনেক সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিকের জীবন রক্ষায় সত্যিই সাহায্য করবে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হুন মানেত।

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আগে, থাই-কম্বোডিয়ার সীমান্তে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে গড়ায় এবং নতুন নতুন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই বলেছে, তারা আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং অপর পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। গত ১৩ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ও আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আলোচনার কোনো বিস্তারিত জানাননি। হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার সময় ও স্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডিয়ার দূতাবাসও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ার সেনার মৃত্যুর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সীমান্তে দুই দেশের সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয় এবং এই সংঘাত থাইল্যান্ডের নাজুক জোট সরকারকে পতনের মুখে ঠেলে দেয়।

 

 

 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!