যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের নিয়ম আরও কঠিন করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে নাগরিকত্ব পরীক্ষাকে আরও কঠিন করার পাশাপাশি এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে উচ্চ বেতনের চাকরিদাতাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। দেশটির নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলোর বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ খবর প্রকাশ করে।
জোসেফ এডলোর মতে, বর্তমানে (নাগরিকত্ব পাওয়ার) পরীক্ষাটি খুব কঠিন নয়। খুব সহজেই উত্তর মুখস্ত করে পাস করা যায়। এতে প্রকৃত আইনের চেতনাকে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এইচ-১বি ভিসা সম্পর্কে এডলো বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি পেশাজীবীকে এই ভিসা দেওয়া হয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চ বেতনের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মতে, এইচ-১বি ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মার্কিন ব্যবসা, অর্থনীতি এবং কর্মীদের সহায়তা করা। এমনটা না যে তাদের জায়গা দখল করে নেওয়া।
এদিকে এই পরিবর্তনের ফলে তরুণ ও উচ্চ শিক্ষিত অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে সুযোগ হারাতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকেরা। ক্যাটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন গবেষণা পরিচালক ডেভিড বিঅর নিউজউইক-কে বলেন, শুধু উচ্চ বেতনের চাকরির ভিত্তিতে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হলে মূলত বয়স্ক কর্মীরাই অগ্রাধিকার পাবেন, যারা হয়তো শিগগিরই অবসর নেবেন বা দেশ ছেড়ে চলে যাবেন।
অবশ্য অভিবাসন বিষয়ে কড়া অবস্থানে থাকা কিছু রিপাবলিকানদের সমালোচনার মধ্যেও এডলো বৈধ অভিবাসনের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন। যার ফলে এইচ-১বি কর্মসূচির অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ৮৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্রোগ্রেস।
মার্কিন মুলুকে নাগরিকত্ব পরীক্ষা বা ভিসা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বা অন্যান্য ফেডারেল সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বর্তমানে এসব বিষয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনাই চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :