মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৪:১০ এএম

৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২১.৬ শতাংশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৪:১০ এএম

৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২১.৬ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক তৈরি পোশাক আমদানিতে ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে। এই প্রবৃদ্ধি আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে অনেক ভালো। চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির বিপরীতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি ১০ দশমিক ০২ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে ভারত ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, পাকিস্তান ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ভিয়েতনাম ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
তবে প্রতি ইউনিট মূল্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশ খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিপরীতে ভিয়েতনাম ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ ইউনিট মূল্যে প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। চীন  শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ হারে ইউনিট মূল্যে পিছিয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যই ইতিবাচক খবর। তবে ইউনিট মূল্যে স্থবিরতা বা পতন আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ক্রেতারা এখনো দামে বেশ সংবেদনশীল এবং মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে আমরা অধিকাংশ সময়েই ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারছি না। ভিয়েতনাম যেভাবে ইউনিট মূল্যে এগিয়ে আছে, তা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। বাংলাদেশকে এখন শুধু পরিমাণ নয়, মান ও মূল্য সংযোজনেও আরও মনোযোগী হতে হবে, না হলে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে।

‘আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্য ও কারিগরি দক্ষতা বেড়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ধরে রেখেই রপ্তানি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। কারণ আমাদের উৎপাদনদক্ষতা, পরিবেশবান্ধব কারখানা এবং সময়মতো ডেলিভারির ফলে ক্রেতারা আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে’ বলে মন্তব্য করেন স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অ্যাক্টিভওয়্যার, স্পোর্টসওয়্যার এবং আউটারওয়্যারের মতো নতুন ধরনের পণ্যে দক্ষতা অর্জন করেছি। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রযুক্তি গ্রহণে বিনিয়োগ বাড়ানো। শুধু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা নয়, সেই সঙ্গে আমাদের শ্রমিকদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চমূল্যের পণ্যে রপ্তানি সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!