বাংলাদেশের বিমা খাতে গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হলো দাবি পাওনা সময়মতো পরিশোধ। কারণ, যে মুহূর্তে একটি পরিবার বিমা অর্থের প্রয়োজন বোধ করে, তখন সেটি কেবল টাকার অঙ্ক নয়, বরং বেঁচে থাকার ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। এই আস্থার জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে শীর্ষস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা এবং লাইফ ফান্ড ৫ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালে ১২০ কোটি টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিমা একটি সেবামূলক পেশা। বিমার মাধ্যমে মানুষকে সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের সব মানুষের বিমা থাকা উচিত। বিমার মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত সময়ে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা হয় এবং অকালমৃত্যুতে পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪ বছরে যেখানে কোম্পানির লাইফ ফান্ড ছিল ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির লাইফ ফান্ড হয়েছে ৬ হাজার ২৯ কোটি টাকা। শুধু লাইফ ফান্ডই নয়, দাবি পরিশোধেও চমক দেখিয়েছে ন্যাশনাল লাইফ। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানি ১১ হাজার ৪১৮ কোটি টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। শুধু ২০২৪ সালেই দাবি পরিশোধ করেছে ১২০৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দাবি পরিশোধ করেছে ৩২৯ কোটি টাকা। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিমা বিক্রিতেও ঈর্ষণীয় অবস্থানে চলে গেছে ন্যাশনাল লাইফ। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত প্রায় ৭২ লাখ পলিসি বিক্রি করেছে। কোম্পানির সর্বমোট বিনিয়োগ ৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা আর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা।
ইতিবাচক ব্যবসা, গ্রাহকের আস্থা অর্জন ও সময়মতো দাবি পরিশোধ করায় কাজিম উদ্দিনের হাত ধরে ন্যাশনাল লাইফ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে। কাজিম উদ্দিন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ন্যাশনাল লাইফ দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অন্তত ২৫টি প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার অর্জন করেছে। এর মধ্যে দেশ থেকে পেয়েছে ১৪টি পুরস্কার।
সেগুলো হলো অষ্টম আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২০; ৯ম আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২১; দশম আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২২; এগারোতম আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; বারোতম আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২১; তেরোতম আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২২; চৌদ্দতম আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; তেইশতম আইসিএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২২; চব্বিশতম আইসিএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; শীর্ষ করদাতার সম্মাননা (২০২১-২০২২) অর্থবছর; শীর্ষ করদাতার সম্মাননা (২০২২-২০২৩) অর্থবছর; বিমা দাবি পরিশোধে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ এবং বিমা দাবি পরিশোধে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪।
এ ছাড়া কাজিম উদ্দিনের হাত ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ন্যাশনাল লাইফ পেয়েছে ১১টি পুরস্কার। সেগুলো হলোÑ সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১; সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২; সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্টস (সাফা) অ্যাওয়ার্ড ২০২২; সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টস (সাফা) অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; ইমার্জিং এশিয়া ইন্স্যুরেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১; ইমার্জিং এশিয়া ইন্স্যুরেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২; প্রেস্টিজ অ্যাওয়ার্ড, ইংল্যান্ড; কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩; সিএমও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এবং এশিয়া’স বেস্ট কোম্পানি অব দি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২ বার্কশায়ার মিডিয়া, আমেরিকা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কাজিম উদ্দিন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত কয়েক বছরে ন্যাশনাল লাইফের যত অর্জন, তা সত্যিকার অর্থেই ঈর্ষণীয়। এই মুহূর্তে বিমা খাতে তার বিকল্প মুখ্য নির্বাহী তিনি নিজেই। সংশ্লিষ্টদের মতে, কাজিম উদ্দিন বিমাশিল্পে একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ও অন্যতম সংগঠক। তার নেতৃত্বে বিমা খাতে কিছুটা হলেও মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে।