সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে তুঘলকি কা- ঘটেছে। বিষয়টি এখন শুধু আর্থিক লেনদেন নয়, দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার কঠোর আইন শিথিল করে সুবিধা দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। চলতি মাসের ২ জুলাই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে ২৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন ও দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি চরম অবজ্ঞা। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) তথ্য উপেক্ষা করে এমন অযোগ্য লেনদেন শুধু ব্যাংকের অবহেলা নয়, বরং দেশের অর্থনীতির জন্যও নিরাপত্তা হুমকির শামিল। কেননা, আর্থিক অনিয়ম এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি’র স্বার্থ ক্ষুণœ হওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন। এসব তথ্য আড়াল করে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেড (এনবিএল) নিজেদের মালিকানাধীন শেয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে একটি চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী, নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে স্থানীয় ওষুধ কোম্পানি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার যথারীতি বাংলাদেশ সরকারের হাতেই থাকবে। সরকারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যেই ক্ষতিপূরণ ও অন্য সুবিধাদি চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নোভার্টিস বাংলাদেশের কয়েকজন কর্মী আদালতে একটি রিট করেন। এরপর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশে নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, নোভার্টিস বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ শেয়ার কেনা-বেচার প্রক্রিয়াটি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে সম্পন্ন করার কথা ছিল।
কিন্তু ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি। সালমান এফ রহমানের অবর্তমানে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বর্তমানে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ব্যাবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজারমূল্য বিবেচনায় না নিয়ে গোপন চুক্তির ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ইচ্ছাকৃতভাবে শেয়ারের অতিরিক্ত মূল্য প্রদর্শন করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এই অর্থ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি বিগত সরকারের সর্বশেষ একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার স্থানান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন হাইকোর্ট ডিভিশন।
এ বিষয়ে কথা বলতে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ ছিল। বিধায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, নোভার্টিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির আংশিক মালিকানা অর্জন করেছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এই শেয়ার বিক্রির বিপরীতে প্রায় ২৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত মূল কোম্পানি নোভার্টিস এজিকে পাঠাতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এজন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স অনুমোদনের আবেদন করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩ এপ্রিল এক আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) কর্তৃক প্রদত্ত ফর্ম-১১৭ এবং সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্টগুলো যথাযথভাবে যাচাই করে অর্থ পাঠানো অনুমোদনযোগ্য হবে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই বলেছে, শেয়ার হস্তান্তরের সব আইনি আনুষ্ঠানিকতা ও নথিপত্র সম্পন্ন হওয়ার পরেই কেবল অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া বা নিয়মবহির্ভূত পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্যও সতর্ক করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে।
এরপর গত ২৩ জুন নোভার্টিসের শেয়ার হস্তান্তর এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড শহীদুল ইসলাম একটি নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক যেন মূল্যায়ন এবং রেমিট্যান্স সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া করা থেকে বিরত থাকে, যতক্ষণ না বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়।
শেয়ার হস্তান্তর চুক্তিরও মূল শর্ত ছিল আরজেএসসি থেকে ‘চূড়ান্ত অনুমোদন’ আসা পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাঠানো যাবে না। কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে এই কঠোর শর্ত ‘ফর্ম-১১৭ স্বাক্ষর’ শিথিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ শ্রমিকদের মামলার কারণে আরজেএসসির সিস্টেমে নোভার্টিসের আইডি ‘লক’ করে রাখা হয়েছিল। ফলে ফর্ম-১১৭ স্বাক্ষর করার কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা বিভাগ থেকে চলতি মাসের ২ জুলাই পাঠানো এক চিঠিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওকে এ অনুমতির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, নন-রেসিডেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছে থাকা নোভার্টিসের শেয়ার হস্তান্তরের অর্থপ্রাপ্তি বাবদ উল্লিখিত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নোভার্টিস এজি, সুইজারল্যান্ডের অনুকূলে প্রেরণ করা যাবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন ও দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি চরম অবজ্ঞা। আরজেএসসির তথ্য উপেক্ষা করে এমন অযোগ্য লেনদেন করাটা শুধু ব্যাংকের অবহেলা নয়, বরং দেশের অর্থনীতির নিরাপত্তা হুমকির শামিল। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, যেহেতু বিচারাধীন বিষয় এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আরজেএসসি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই ফর্ম-১১৭ স্বাক্ষরিত না থাকা অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রায় টাকা পাঠানো স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতের আদেশ থাকা অবস্থায় এই লেনদেন সম্পন্ন হলে তা আদালতের শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো অপরাধ। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরজেএসসির বিভ্রান্তি ও বিচার প্রক্রিয়া বিঘ্ন চলতি বছরের জুন মাসে নোভার্টিসের পক্ষ থেকে আরজেএসসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। যা পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ শ্রমিকদের পাওনা, শেয়ার হস্তান্তর ও বিসিআইসির স্বার্থ নিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক মামলা দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন। এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে আরজেএসসিকে বিভ্রান্ত করার পেছনে রয়েছে পরিকল্পিত কৌশল, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে পাশ কাটানোর উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
বিসিআইসির স্বার্থ উপেক্ষা ও সাবেক চেয়ারম্যানের রহস্যজনক ভূমিকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) শত শত কোটি টাকার স্বার্থ এই লেনদেনে জড়িত। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয় বিসিআইসিকে ‘সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণ’ নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি দেয়। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে নোভার্টিসের বোর্ড সভায় শেয়ার হস্তান্তর অনুমোদন দেওয়া হয়। যা বিসিআইসির পূর্ববর্তী সমঝোতা স্মারকের পর্যালোচনা দাবি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়। বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ও পরিচালকদের এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গোটা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
গোপন সমঝোতা স্মারক এই চুক্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে থাকা সমঝোতা স্মারকও গোপন রাখা হয়েছে। বিসিআইসির প্রতিনিধিরা বারবার বোর্ডে চুক্তি দেখতে চেয়েও তা দেখতে পারেননি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চুক্তি ছিল কোম্পানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের নীলনকশা, যা গোপন রাখায় একতরফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। নতুন মালিক রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ইতোমধ্যে কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউশন ও ব্যবস্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যেখানে কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ ও পরিচালনার বিষয়গুলো নিয়ে বিসিআইসির কোনো ধারণা নেই। কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ইতোমধ্যে ‘নেভিয়ান লাইফসাইন্স পিএলসি’ করা হয়েছে। যা বিচারাধীন বিষয়গুলো আড়াল করার কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিচারাধীন অসংখ্য মামলার তথ্য গোপনবহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা-সংক্রান্ত প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা বিচারাধীন।
এ ছাড়া কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর, আর্থিক অনিয়ম এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বিসিআইসির স্বার্থ ক্ষুণœ হওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন। এতসব গুরুতর তথ্য আড়াল করে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন করা হচ্ছে। সম্প্রতি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) ওয়েবসাইট থেকে নোভার্টিসের প্রোফাইল সরিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ও ২৬ জুন পোর্টাল পুনরায় চালুর অনুরোধে দুটি চিঠি দিয়েছে নোভার্টিস কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা আইনি কার্যক্রম চলমান নেই, যা সম্পূর্ন মিথ্যা তথ্য। আর এসবের নেপথ্যে রয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ২০২৪-এর বিতর্কিত নির্বাচনের এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ও তার প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আইনজীবীরা বলছেন, বিচারাধীন অসংখ্য মামলার তথ্য গোপন করে আরজেএসসিকে চিঠি দেওয়া একটি গুরুতর মিথ্যাচার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিভ্রান্ত করে শেয়ার হস্তান্তরের অনুমোদন আদায়ের একটি অপকৌশল।
আপনার মতামত লিখুন :