ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

নিজের সম্পদের স্বাস্থ্য ভারী করেছেন স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালক ডা. সাদী

স্বপ্না চক্রবর্তী
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০১:০২ এএম

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সময় দেশে জরুরি ভিত্তিতে ৮৮৯ মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ১৮০০ জন মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন স্বাস্থ্য বিভাগ।

পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে চলে নিয়োগ কার্যক্রম। শুরুতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার কাছে এটি হয়ে ওঠে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। এসব কর্মকর্তার মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শামিউল ইসলাম সাদী। বিভিন্ন সময় চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে আদায় করেন কোটি কোটি টাকা। এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠেন তিনি। সর্বশেষ ২০২৩ সালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের কাছ থেকে ৮ লাখ করে মোট ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদের কাউকেই নিয়োগ দিতে পারেননি তিনি।

এই ৩০ প্রার্থীর সবার আলাদা আলাদা বক্তব্য আছে রূপালী বাংলাদেশের কাছে। এর বাইরেও ২০২০ সালের জুনে প্রকাশিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভর করে ঘুষ হিসেবে কয়েক শ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যেসব অর্থ দিয়ে রাজধানীর ধানম-ির মতো জায়গায় কিনেছেন আলীশান ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়িতে গড়েছেন সুবিশাল প্রাসাদ। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত থাকলেও এখনো নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি কার্যক্রমে আগের মতোই প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তখনকার উপপরিচালক (প্রশাসন) আফম আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। যার অন্যতম অংশীদার ছিলেন ডা. সামিউল সাদী। যিনি চাকরিজীবনে বরাবরই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। এই সিন্ডিকেটে তাদের সহযোগী হিসেবে কর্মচারীদের মধ্যে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (স্বাস্থ্য) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মহব্বত হোসেন খান, পরিচালক এমবিডিসি-এর দপ্তরের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুল মমিন শেখসহ কয়েকজন। বদলি, পদায়ন, পদোন্নতিসহ প্রশাসন শাখার নানা কর্মকা-ে এরাই করতেন তদবির বাণিজ্য। মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর পর এ চক্রের সামনে আসে বড় সুযোগ। আর এটিকে কেন্দ্র করেই তারা ব্যাপক হারে ঘুষ বাণিজ্যে নেমে পড়েন। সে সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্বে ছিলেন ডা. বেলাল হোসেন। অনেকটা তার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়েই এই সিন্ডিকেটের কর্মকা- চলছিল। সরকারের সিদ্ধান্তে নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই যে ১৪৫ জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, সেখানেও ব্যাপক ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বাধে মহাকেলেংকারিও। দুর্নীতির দায়ে ডা. বেলাল হোসেনকে পরিচালক (প্রশাসন) পদ থেকে বদলি করা হয়। পরিচালক (প্রশাসন) পদে আসেন ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম। সেই থেকে তিনি পদাধিকারবলে নিয়োগ কমিটিরও সদস্যসচিব। ডা. হাসান ইমামকে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক পদ থেকে এখানে পদায়ন করা হয়। তিনি ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক পদে কাজ করেছিলেন। সে সময় বড় কোনো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ওঠেনি। ফলে ধারণা করা হয়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ানদের এই বড় আকারের নিয়োগ তার হাত দিয়ে স্বচ্ছভাবেই পরিচালিত হবে। ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়টি অনেক আগে থেকেই দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত। তবে সেখানে কাজ করতে গিয়ে ডা. হাসান ইমাম নিজের ক্লিন ইমেজকে একেবারেই বদলে ফেলেন। এরপর নিজের মতো করে সাজাতে থাকেন নতুন সিন্ডিকেট। অধিদপ্তরের বাইরে থেকেও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের এনে জড়ো করতে থাকেন। বিশেষ করে টেকনোলোজিস্ট নিয়োগ দুর্নীতিতে নেপথ্যে থেকে ডা. শামিউল ইসলাম সাদীই গডফাদার হিসেবে কাজ করছিলেন। ওই সময় তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-লেপ্রোসি পদে নিয়োজিত ছিলেন। মূলত তার উত্থান ঘটে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সময়। সে সময় পরিচালক (হাসপাতাল) পদে থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও কেলেংকারির জন্ম দেন তিনি। ওই সময় সরাসরি ১৪৫ জন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের যে কেলেংকারি হয়, তাতে ডা. সাদীর একারই ছিল ৬০ জন, এ কথা তিনি নিজেই গণমাধ্যমে স্বীকার করেন। ওই নিয়োগে তিনি তার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল মমিন শেখের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেন বলে জানা যায়। প্রতিটি নিয়োগে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। অবশ্য এই অর্থের একটি অংশ তখনকার নিয়োগ কমিটির সদস্যরাও পেয়েছেন বলে জানা যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের বরাদ্দ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় ছিল তার হাত। ডা. সাদীর ওপর ছিল সরকারের উপরি মহলের আশীর্বাদ। আর এরই ফলে পদোন্নতি পেয়ে শামিউল হয়ে যান একই অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগেরও পরিচালক। বদলী বাণিজ্য থেকে শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্যÑ সব কিছুই হতো ডা. সাদী ইশারায়। 

চাকরি না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা চাইতে গেলে সেখানেও ঘটে রহস্যময় ঘটনা। আওয়ামী লীগের আমলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ও ছাত্রাবস্থায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকলেও ভোল পাল্টে ভুক্তভোগীদের ভয় দেখান ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল আলম নয়নের। একই সঙ্গে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিসিসি) যুগ্ম কমিশনার তাহেরুল হক চৌহানের। তবে ভুক্তভোগীদের চাপে পড়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ধানমন্ডি থানা থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চাপ দিলে অর্থ ফেরত দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ফের প্রতারণার আশ্রয় নেন ডা. সাদী। জানা যায়, হাতিয়ে নেওয়া টাকা নিজ হাতে নিতেন না ডা. সাদী। এ কাজে তার সহযোগী ছিলেন আন্দালিব রহমান নামে এক ব্যক্তি। হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিনও গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামীপন্থীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম সাদী। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল দুদকে ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদীর বিরুদ্ধে অবৈধ এবং শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্তের জন্য একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে চাকরির জন্য ডা. শামিউল সাদিকে টাকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আশিকুর রহমান। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘৩০ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের জন্য ডা. শামিউল ইসলাম সাদিকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হয় আমার মাধ্যমে। এই টাকা তৎকালীন স্বাচিপ নেতা ডা. তারেক মেহেদি পারভেজসহ ডা. সাদীর কথামতো রাজধানীর লালমাটিয়ায় আন্দালিব নামে এক ভদ্রলোকের হাকে তুলে দেওয়া হয়। আন্দালিবকে আমরা কেউই ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। ডা. পারভেজও চিনতেন না। ডা. সাদির নির্দেশনায় আন্দালিবের বাসায় আমরা টাকা দিয়ে আসি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও সামিউল ইসলাম সাদি কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। আমাদের টাকাও ফেরত দেননি তিনি।’

আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা ধরনের হুমকি দেন। গত বছরের শেষের দিকে ধানমন্ডি থানা যুবদলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে তার বাসায় গেলে তিনি দুই দিন সময় নিয়ে বলেন, ডা. পারভেজের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করবেন। কিন্তু প্রায় ২ মাস পার হয়ে গেলেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় আবার আমরা তার বাসায় যাই কয়েকজন ভুক্তভোগীসহ। তাকে বাসায় পাইনি এ সময়। ধানম-ি স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে ছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তখন তাকে ধানম-ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থানার ওসির সামনে লিখিত দেন ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেবেন ১১ নভেম্বর। আর ১ ডিসেম্বর বাকি ৪০ লাখ টাকা দেবেন। কিন্তু ৭ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তিনি একটি টাকাও ফেরত দেননি।’

আরেক ভুক্তভোগী মো. নুরুল রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘২০২৩ সালের মেডিকেল টেকনোজিস্ট নিয়োগ পরীক্ষায় ডা. শামিউল ইসলাম সাদী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেন। বিনিময়ে প্রত্যেককে ৮ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন। চাকরি পাওয়ার আশায় অনেক কষ্ট হলেও তার কথা মত আমরা ৩০ টাকা একসঙ্গে জনের টাকা তার কাছে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের চাকরি হয় না। ডা. সাদী পুরোপুরিভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।’

একই রকম অভিযোগ করেন ডা. সাদীকে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া আরেক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মাহফুজ আহম্মেদ। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি আমাদের। টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় আমরা কয়েকজন মিলে তার বাসায় যাই। কিন্তু তিনি বাসায় থাকা অবস্থায়ও আমাদের সঙ্গে দেখা না করে বিভিন্ন সময় আমাদের হুমকি দেন। এমনিতে চাকরি না পেয়ে হতাশ। তার ওপর জমি বিক্রি করে যে টাকা দিয়েছি, তা ফেরত না পাওয়ায় পরিবার এখন পথে বসে গেছে।’

মো. ইমরান হাসান নামের আরেক টেকনোলজিস্ট বলেন, ‘ডা. শামিউল সাদী আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন চাকরি দেওয়ার কথা বলে। তাকে টাকা দিয়েও আমাদের চাকরি না হওয়ায় পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে স্বাচিপ নেতা ডা. তারেক মেহেদি পারভেজ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কয়েকজনকে আমি চিনতাম। সেদিন আমি সাদীর ওখানে আমাদের ডাক্তারদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। মেডিকেল টেকনোজিস্টরা তাদের নিয়োগের জন্য সাদীর সঙ্গে অর্থ লেনদেন করে।

ঘুষের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার না করে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে এ প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে চাপ দেন অধ্যাপক ডা. সামীউল সাদি। অভিযোগের বিষয়ে তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যা সত্যি নয়। আমার কাছে কেউ কোনো টাকা পাবে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. সাদীর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়কোট এলাকায়। অবৈধ টাকায় তিনি বিপুল সম্পদ গড়েছেন নিজ এলাকায়। গ্রামে করেছেন চোখে পড়ার মতো প্রাসাদোপম বাড়ি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদরের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ডা. সাদীর বাবা ও গোটা পরিবার ছিল শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার। তার দাপটে সাধারণ ডাক্তাররা তটস্থ থাকতেন। কখন কোথায় বদলি করে এই ভয়ে। চিকিৎসা বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্য বিভাগে থেকে এত অপকর্ম করে সে এখনো শাস্তির আওতায় আসলো না; এটিই আশ্চর্য। সাদীর বাড়ি আমার এলাকায় বলে তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। এলাকার অনেকেই তার আগের দাপট ও অপকর্ম সম্পর্কে অবগত। আমি ডা. সাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সে যাতে কোনোভাবেই পার পেতে না পারে।’