দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পরস্পরের বিপক্ষে খেলে থাকে ভারত ও পাকিস্তান। তবে এ জায়গাতেই আপত্তি ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের। তিনি চান, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ যেহেতু পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে না ভারত, তাহলে টুর্নামেন্টেও পাকিস্তানিদের বিপক্ষে খেলা থেকে বিরত থাকুক ভারতীয়রা।
নতুন করে এই আলোচনা উঠেছে আসন্ন এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে। নানা টানাপোড়েনের পর অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলতে থাকা এবারের আসরের গ্রুপিং ও সূচি গত শনিবার দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। যেখানে ভারত ও পাকিস্তানকে রাখা হয়েছে একই গ্রুপে।
আসরে তিনবার এ দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। দুই দেশ একপর্যায়ে যুদ্ধেও জড়ায়। তখন থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার আওয়াজ ওঠে ভারতে। গণমাধ্যমে খবর বের হয়, কোনো টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চায় না ভারত। তাতে অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় এশিয়া কাপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিকই হতে যাচ্ছে আসরটি। আবার সেখানে পাকিস্তানের মুখোমুখিও হতে যাচ্ছে ভারত, যা নিয়ে ভারতজুড়ে বইছে বিতর্কের ঝড়।
টুর্নামেন্টটি বয়কট করতে বিসিসিআইকে জানানো হচ্ছে আহ্বানও। আজহারউদ্দিন অবশ্য শুধু এশিয়া কাপ নয়, আইসিসি টুর্নামেন্টেও এ দুই দেশের মুখোমুখি লড়াই দেখতে চান না। তার মতে, হয় সব ধরনের ম্যাচ খেলবে দল দুটি, না হয় কিছুই খেলার দরকার নেই।
আজহারউদ্দিন বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে, (পাকিস্তানের বিপক্ষে) সব ধরনের ম্যাচই খেলা উচিত। যদি সেটা না হয়, তাহলে কোনো ম্যাচই খেলা উচিত নয়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতেও খেলা উচিত নয়, এটাই আমি বিশ্বাস করি।’ ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) লিগে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, যুবরাজ সিংরা।
তাতে দুই দলের ম্যাচটি বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন ৯৯ টেস্ট ও ৩৩৪ ওয়ানডে খেলা আজহারউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সাবেকদের এই লিগ আনুষ্ঠানিক কোনো টুর্নামেন্ট নয়; আইসিসি কিংবা বিসিসিআই কর্তৃক অনুমোদিত নয়। এটা নিজেদের উদ্যোগে পরিচালিত হয়। কিন্তু এশিয়া কাপ এসিসির পরিচালিত একটি টুর্নামেন্ট।’ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। দুই দলেরই রয়েছে সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনা। আর সেটা হলে আরও একবার দেখা হবে তাদের। সুপার ফোরের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকলে দেখা যেতে পারে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালও।