বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:২০ এএম

সিইসি বললেন

চ্যালেঞ্জ থাকলেও ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:২০ এএম

চ্যালেঞ্জ থাকলেও ভোটের  প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি পেলে তপশিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেলে ও কমিশন আলোচনা করে ভোটের তারিখ থেকে মাস দুয়েক আগে তপশিল ঘোষণা করা হবে। দ্রুত চিঠি পেয়ে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন সিইসি। আর না পেলেও ইসি আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইসি তার প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে গত মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ (গত মঙ্গলবার) এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। 
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা অর্জন বড় চ্যালেঞ্জ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। আমরা আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

তিনি বলেন, মানুষকে আস্থার জায়গায় দিতে হবে। আপনারা এবার বিশ্বাস রাখুন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের দিনের মতো উনি একটা ইলেকশন দেখতে চান; আমরা সেটা সামনে রেখেই কাজ করছি। 

সিইসি বলেন, আগে চাপ থাকত কোনো দলের পক্ষে কাজ করার জন্য। এখন চাপ থাকবে সম্পূর্ণ প্রফেশনালি নিউট্রালি কাজ করার জন্য। এ ছাড়া আমরা এখানে (নির্বাচন ভবন) সেন্ট্রাল কমিউনিকেশন করব। যাতে ফিল্ডের থেকে কেউ যদি চাপাচাপি করে, তখন যেন আমাদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারে। 

এআইর অপব্যবহার রোধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিটা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। আমার জন্য এখন বড় দুশ্চিন্তা হয়ে গেছে মিস ইউজ অব এআই। এআই ভুল তথ্য দিচ্ছে। কালকে না পরশু দেখলাম, আমার ছবি আর ড. ইউনূসের ছবি জুড়ে দিয়ে বলল, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন। 

এ সময় ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা নির্বিঘœ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়। 

সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের সংসদীয় প্রকাশ করা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজও চলছে, কেনাকাটাও চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। 

রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের ঘোষণা এলেও কবে তপশিল হবে সে বিষয়ে ডিসেম্বরের শেষার্ধের ইঙ্গিত দেন সিইসি। তিনি বলেন, ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তপশিল ঘোষণা করা হবে। যেদিন পোলিং ডেট হবে, তার দুই মাস আগে তপশিল হবে। আগে চিঠিটা পেয়ে নিই। 

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, যেন-তেন একটা নির্বাচন করে আপনারা জেতার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহর দোহাই, আমাকে সাহায্য করুন। আমি একটা সুন্দর ক্রেডিবল একটা ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশন দিতে চাই; আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া পারব না।

তিনি বলেন, প্লেয়াররা যদি সবাই ফাউল করার নিয়তে মাঠে নামে এখন রেফারির পক্ষে সে ম্যাচ প- হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। লালকার্ড কয়জনকে দেখাবেন আপনি? সুতরাং যারা খেলবেন তাদের তো দায়িত্ব আছে বিশাল। আমি এই মেসেজটা রাজনীতির দলগুলোকে দিতে চাই। তারা একটা মেজর স্টেক হোল্ডার। আমাদের দায়িত্ব হবে খেলার মাঠটা তাদের জন্য সমান করে দেওয়া। তারা যেন সুন্দর একই অপরচুনিটি পায় সেই চেষ্টাটা আমরা করছি এবং করব। 

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোট করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ। তাদের বিচার চলমান রয়েছে, বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর আলোচনা শেষ হলে নির্বাচন কমিশনও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে। এজন্য প্রায় একটা মাস সময় পরিকল্পনা করে রেখেছেন বলে জানিয়ে সিইসি বলেন, এখন ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যারা সারাদিন ধরে দলের আলোচনা করছেন তাদের পাওয়া মুশকিল। যেহেতু অনেক রিফর্মস কমিশন হয়েছে বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন হয়েছে তারা অনেক স্টেক হোল্ডারের সাথে আলাপ করেছে। এক ধরনের ইসির কাজ তারা সেরে রেখেছে। তারপরও আমাদের তরফ থেকে আমরা একটা অপেক্ষায় ছিলাম, দলগুলো একটু ফ্রি হোক। ফ্রি হলে তখন আলোচনাটা স্টেক হোল্ডারদের সাথে করব। আলোচনা করার জন্য এক মাসের একটা প্ল্যান করেছি।

আয়নার মতো স্বচ্ছ ভোটের আশা করে তিনি বলেন, একটা ইলেকশনের স্বচ্ছতার জন্য যা যা দরকার, তারমধ্যে রুল অব মিডিয়া ইজ নাম্বার ওয়ান। আমরা কিন্তু ইলেকশনটাকে স্বচ্ছ করতে চাই; আয়নার মতো পরিষ্কার করতে চাই। মানুষ, বিশ্ববাসী দেখুক যে আমাদের আন্তরিকতার, আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি আছে কি না। এটা দেখুক আমরা সেটা চাই। লুকিয়ে কোনো কাজ করতে চাই না।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!