গত ৩ সেপ্টেম্বর-২৫ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের শেষের পাতায় ‘কত মধু আলিম উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেটে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই ওয়াক্ফ এস্টেটের সুলতানুল ইসলাম চৌধুরী। এক উকিল নোটিশের মাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তিনি নিজেকে মোতাওয়াল্লি হিসেবে দাবি করে তার ভাষায় প্রতিবেদনের প্রতিটি লাইন অসত্য, কাল্পনিক, বিভ্রান্তিকর, হয়রানিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিবাদ লিপিতে সুলতানুল ইসলাম চৌধুরী আরও দাবি করেন, তিনি একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ও নিয়মিত আয়কর প্রদানকারী। মূলত ওই ওয়াক্ফ এস্টেটের তিনি বর্তমান মোতাওয়াল্লি। ওয়াক্ফনামার শর্ত অনুযায়ী তাকে মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত বঞ্চিত রাখা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিভিল মিস আপিল মামলার প্রদত্ত আদেশ মূলে তিনি মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব বুঝে পান। কিন্তু তার প্রতিপক্ষগণ তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সত্য গোপন করে প্রতিপক্ষগণের পক্ষ নিয়ে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
হাজি আলিম উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেট নিয়ে করা প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ওয়াক্ফ এস্টেটের ওয়েবসাইট, ওয়াক্ফ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, দায়ের করা মামলা ও ওয়াক্ফ প্রশাসনের নথিপত্র থেকে। প্রতিবাদলিপিতে সুলতানুল ইসলাম চৌধুরী নিজেকে বর্তমান মোতাওয়াল্লি দাবি করলেও, প্রতিবেদকের হাতে থাকা ওয়াক্ফ প্রশাসনের নথি ও আইনজীবীর লিখিত মতামত অনুযায়ী মোতাওয়াল্লি সুলতান লিয়াকত আলী চৌধুরী। ওয়াক্ফের জমি বিক্রি করা এবং মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন না দেওয়ার অভিযোগও ওয়াক্ফ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া অপসারণ নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সুলতানুল ইসলাম চৌধুরীর ৩৫ বছর ধরে মোতাওয়াল্লি থাকার দাবিটিও সঠিক নয়। বরং সুলতানুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণের পর প্রথমবারের মতো মোতাওয়াল্লি নিযুক্ত হওয়ার প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
অন্যদিকে, সুলতানুল ইসলাম চৌধুরী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করলেও, প্রতিবেদকের কাছে আওয়ামী লীগের নামে টি-শার্ট ছাপিয়ে মিছিল-মিটিং করার ছবিসহ প্রমাণ রয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। কক্সবাজারের চকরিয়া থানা ও আদালতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান বলে প্রমাণ রয়েছে। প্রতিবেদনটি করার সময় তার বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে মারুফ নামের একজনকে দিয়ে দৈনিক পূর্বকোণের অফিসিয়াল নম্বর থেকে ফোন করে নিউজ না করতে হুমকি দেন। যা প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ড রয়েছে।