ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

বললেন তথ্য উপদেষ্টা

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা যাবে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১২:০৯ এএম

সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে সেই সংঘাত দৃশ্যমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আর সেই সংঘাতে যদি ‘ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ’ যুক্ত হয়, তাহলে দেশের পরিস্থিতি ‘আরও খারাপ’ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএম ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি : সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহফুজ আলম বলেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন এবং আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ ‘দরবারগুলোর’ সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে তিনি শুনতে পেয়েছেন। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এই কোশ্চেনটা (প্রশ্ন) অন্তর্বর্তী সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও সামাজিক জায়গায় ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। দেশে ইসলামের যত ধারা আছে, সবকটি ধারার মধ্যে সংলাপ এবং সংযোগের সুযোগ তৈরি না হলে রাষ্ট্র খুবই শঙ্কার মধ্য দিয়ে এগোবে।

দেশে ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মুসলমানের মধ্যে বিভিন্ন তরিকা আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করা যায়, আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতারা এটা নিয়ে ভাবেননি; বরং কেউ কওমিদের সঙ্গে, কেউ সুন্নিদের সঙ্গেÑ এভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতির হাতিয়ার করে নিয়েছেন।’

দেশে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর সংযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘কোনো কোনো অ্যাম্বাসি চায় যে, মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গাগুলো এখানে আছে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় জনগোষ্ঠী লড়াই করবে, মব করবেÑ এমন ভয় না পেয়ে, এই সংকটগুলো রাষ্ট্রীয় জায়গা থেকে, রাজনৈতিক জায়গা থেকে, নীতির জায়গা থেকে দেখতে হবে। না হলে সংকট ঘনীভূত হতে থাকবে।’

বক্তব্যের শেষে তথ্য উপদেষ্টা কবে পদত্যাগ করবেনÑ এ প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। তবে আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় না হওয়ায় উপদেষ্টা এ প্রশ্নের উত্তর দেননি।