মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০২:০০ এএম

বদিউল আলম মজুমদার

রাজনীতিটা এখন ব্যাবসায়িক জায়গায় পরিণত হয়েছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০২:০০ এএম

রাজনীতিটা এখন ব্যাবসায়িক  জায়গায় পরিণত হয়েছে

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনীতিটা এখন ব্যাবসায়িক জায়গায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া এখন প্রায় নিশ্চিত। ভবিষ্যতেও যদি রাজনীতিকদের ক্ষমতায় গিয়ে সম্পদ আহরণের ধারা চলতে থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ সহজ হবে না। জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের সেবা করতে গিয়ে নিজেদের সেবা করেন, তাহলে মানুষকে হয়তো আরেকবার জেগে উঠতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। ‘ভয়েস নেটওয়ার্ক’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত মেয়রদের সম্পদের হিসাব তুলে ধরেন। তিনি জানান, নির্বাচনের পর পাঁচ বছরে খুলনা সিটি মেয়রের সম্পদ বাড়ে সাড়ে ১৪ হাজার শতাংশের বেশি। বরিশাল সিটি মেয়রের সম্পদ বাড়ে ৫ হাজার ৯১৭ শতাংশ। রাজশাহী সিটি মেয়রের সম্পদ বাড়ে ২ হাজার ৩০৮ শতাংশ। আর সিলেট সিটি মেয়রের সম্পদ বাড়ে ৬০৮ শতাংশ। বাংলাদেশের নির্বাচনি অঙ্গনকে অপরিচ্ছন্ন বলে উল্লেখ করেন বদিউল আলম মজুমদার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে কেনা যায়, এমন একটা গণতন্ত্র এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টারা যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তাহলে আরপিও (নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুযায়ী তা নিয়মের ব্যত্যয় হবে কি না, সে বিষয়ে সেমিনারে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

দেশের রাজনীতিবিদদের চাহিদা অসীম উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মতো কাজ যতই করা হোক, মানসিকভাবে যদি আমরা আমাদেরকে অন্তর থেকে ধৌত করতে না পারি, তাহলে অন্য কোনো বিষয় দিয়ে কোনো কিছু হবে না। বিএনপির এই নেতা মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি জাতি হিসেবে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারে, তাহলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, তাত্ত্বিকভাবে দেখলে নির্বাচনকে খুব সহজ মনে হবে। কিন্তু বাস্তবে এটা অত্যন্ত জটিল সমীকরণ। জেসমিন টুলি মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও অস্ত্রের ব্যবহার বাড়বে। তাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আগেই সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

আগামী নির্বাচনে যাতে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবে অংশ নিতে না পারে, তা খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকিয়ে আছি নির্বাচন কমিশনের দিকে, তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নির্বাচন ঘিরে গণমাধ্যমে যাতে সঠিক সংবাদ প্রচারিত হয়, সেই আহ্বান জানান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য। নির্বাচনের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে সংঘর্ষের ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!