রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১২ এএম

নির্বাচন ঘিরে ১৬ দলের জোট মঞ্জু-আনিসুলের

এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১২ এএম

নির্বাচন ঘিরে ১৬ দলের  জোট মঞ্জু-আনিসুলের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি-জেপি এবং ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির একাংশসহ ১৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে এই জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুলশানের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদার গণতন্ত্র এবং সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থানÑ এই জোটের মূলমন্ত্র। 

জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলামপন্থি অংশের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘এই জোটে সবমিলিয়ে ১৬টি দল থাকতে পারে। ৮ ডিসেম্বর আমাদের জোটের আত্মপ্রকাশ হবে। এদিন এই বৃহত্তর জোটের নেতারাও সেদিন উপস্থিত থাকবেন।’

এদিকে কোনো জোটে না গিয়ে, এককভাবে নির্বাচনে যেতে চায় গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের জাতীয় পার্টি (জাপা)। তিনি বলেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারীর দোসর আখ্যা দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এর পাশাপাশি সরকারকে আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল করার স্বার্থে আপনারা অন্যান্য দলের মতো জাতীয় পার্টিকেও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে নির্বাচনের মাঠে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিন্ত করুন। ইসিতে নিবন্ধন আমাদের অংশের।’

জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুহুল আমিন হাওলাদারকে।

রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশান ১ নম্বরে ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এতে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানরা।

নবগঠিত এই জোটের অন্য শরিকদের মধ্যে আছে জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (মতিন), মুসলিম লীগের একাংশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির একাংশ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশ, বাংলাদেশ ইসলামিক জোট, জাতীয় সংস্কার জোট, মানবাধিকার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, পিস অ্যালায়েন্স, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানীর একাংশ, বাংলাদেশ গণঅধিকার পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ। পর্যায়ক্রমে নতুন এই জোটে আরও কয়েকটি দলের সম্পৃক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ জোটের অন্যতম প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ছিল। তিনি নিজেও ১৯৯৬ সালের সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে জেপি নামে আলাদা দল গড়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ছিলেন। বিএনপির হয়ে রাজনীতি শুরু করা দেশের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রী হন। ২০২৪ সালে হন বিরোধীদলীয় উপনেতা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নেতৃত্ব নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে একই নামে দল গঠন করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

এদিকে তিন খ-ে বিভক্ত জাতীয় পার্টির তিন অংশই দলের প্রতীক লাঙল নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জি এম কাদের অংশ বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। আর এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলাদা হওয়ার পর নীরব থাকলেও এখন তার অংশটি বলছে, তারাই লাঙলের ‘একমাত্র দাবিদার’।

জি এম কাদেরের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সুযোগে গত ৯ অগাস্ট ‘ঐক্য সম্মেলন’ করে আলাদা হয়ে যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। রওশনের অংশ থেকে বেরিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে জাতীয় পার্টিতে পাঁচবার ভাঙন হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৯৭ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফার ভাঙন হয়। তখন থেকেই আলাদাভাবে রাজনীতি করে আসছে এ অংশটি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!