রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১৮ এএম

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের একাংশের

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১৮ এএম

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন বর্জনের  ঘোষণা শিক্ষার্থীদের একাংশের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি, সমাবর্তনের অতিথি ও সময় পুনর্বিবেনা করে পুনরায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ বর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২০১২-১৩ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল কবির ও ২০১৩-১৪ বর্ষের মোহাম্মদ আলী।

এর আগে দু’বার সমাবর্তনের সময় পিছিয়ে গত ২২ অক্টোবরে সমাবর্তনের নতুন তারিখ ঘোষণা হয় আগামী ১৭ ডিসেম্বর। সমাবর্তনে সভাপতি নির্ধারণ করা হয় শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে। এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও ইউজিসি চেয়ারম্যান এ এস এম ফায়েজের। অতিথিদের নাম ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে তারা অতিথি ও সময় পুনর্বিবেচনা এবং রেজিস্ট্র্রেশন উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে গত ৩০ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  এতে দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তারা সমাবর্তন বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০, ৬১ ও ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বাদশ সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এখন জাতীয় নির্বাচনের আগে আয়োজন করা হচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মেইলে স্মারকলিপি পাঠিয়ে, অতিথি ও পুনঃবিবেচনা এবং পুনরায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগের আবেদন করেছি। কিন্তু তারা আমাদের দাবির বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

তারা আরওবলেন, আমরা অতিথি নির্বাচন নিয়ে চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করছি। কোনো অতিথিকে অসম্মান বা অশ্রদ্ধার জায়গা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্যের জায়গা থেকে আমরা এটি বিবেচনা করছি। আসন্ন নির্বাচনের আগে অতিথিদের যদি পাওয়া না যায়, তাহলে নির্বাচিত সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানকে অতিথি করার ব্যাপারে মতামত জানাচ্ছি।

এ ছাড়াও সমাবর্তনের জন্য নেওয়া ফি কোন ব্যাংকে রাখা ছিল, সেখান থেকে কত লভ্যাংশ পাওয়া গেছে,সমাবর্তনের বাজেটের হিসেব প্রকাশ, সমাবর্তনের নতুন কোনো সময় বিবেচনায় নেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগের দাবি জানান সাবেক শিক্ষার্থীরা।

প্রধান উপদেষ্টাকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনি পৃথিবীর অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থেকেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এত বড় সমাবর্তনের সময় আপনাকে পাচ্ছি না, এটাতে আমরা হতাশ।

প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, আমরা এই সমাবর্তন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি প্রশাসন আমাদের উপেক্ষা করে সমাবর্তন আয়োজন করতে যায়, তবে যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দায়ভার প্রশাসনের ওপর বর্তাবে। বিশেষ করে, যদি অতিথিদের সাথে অসম্মান করার ঘটনা ঘটে কিংবা আমাদের অন্য কোনো প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের সমাবর্তনে বিঘœ ঘটে, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবে।

তবে সমাবর্তনের সময় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমাবর্তনে আচার্য বা সরকার প্রধান নিজে থেকেছেন বিষয়টি এমন নয়। এ বছরের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিশিক্ষা উপদেষ্টাকে মনোনীত করেছেন। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভেন্যু প্রস্তুতের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। এই মুহূর্তে এটাকে পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট সময়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!