রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে টানা অবস্থান কর্মসূচির পর কর্মবিরতি, পাশাপাশি গণছুটির কর্মসূচি পর্যন্ত দিয়েছিলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মীরা। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কয়েক দফা দাবিতে এই আন্দোলন চালান তারা। গত ৫ জুন গণছুটির হুঁশিয়ারি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের দাবির বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়। তবে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পবিস কর্মীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না বলে জানিয়ে তারা বলছেন, যদি এটি গেজেট আকারে প্রকাশ না হয়, তাহলে ঈদের ছুটির পর আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা। এতে করে বিভিন্ন অঞ্চলের লাইনের ত্রুটি মেরামত, ট্রান্সমিটার প্রতিস্থাপন, ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে পুনঃস্থাপনে ব্যাঘাত ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন মফস্বল এলাকায় তীব্র লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
সাত দফা দাবিতে গত ৫ জুন ‘গণছুটি’ কর্মসূচির ডাক দিয়ে পরদিন ৬ জুন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে আন্দোলনরতদের দাবি ‘সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতির সাথে বিবেচনা’ এবং এ নিয়ে কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনরতরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে করা আন্দোলনে তাদের দাবিগুলো হলো আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন, মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা।
এ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় জামালপুর সদরের লাইনম্যান মো. নাইমুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। আমরা কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছি। তবে যতক্ষণ এটি গেজেট আকারে প্রকাশ না হবে, ততক্ষণ আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকব। তাই ঈদের ছুটির পরপরই আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোহম্মদ সুমন মিয়ারও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং সমিতি সংকট নিরসনের বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমাদের দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলনে যাব।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে গত ২৮ মে একটি কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নেতৃত্বে ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ঈদের আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই ঈদের ছুটির পর পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে তৈরি রয়েছে শঙ্কা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, তাদের দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা যে কমিটি তৈরি করে দিয়েছি, তারা কাজ করছে। আশা করছি ঈদের ছুটির পরপরই একটা সমাধান হবে। তবে যা হবে তা আলোচনার মাধ্যমেই হবে।
গত ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলনের একপর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জরুরি সেবা বহাল রেখে কর্মবিরতি পালন করে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনকারীরা। ৩১ মে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ করে জরুরি অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইলসমূহ স্ব-স্ব সমিতির অফিস-প্রধানের কাছে জমার মাধ্যমে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনে পরিচালিত হলেও এত দিন নিজেদের আয়েই চলছিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো (পবিস)। কিন্তু এভাবে আর চলতে চাচ্ছেন না এর কর্মীরা। সরাসরি আরইবির কর্মী হিসেবে নিয়োগ চান তারা। কিন্তু বিদ্যুৎ নীতিমালা অনুযায়ী আরইবি সেই প্রস্তাব মানতে সম্মত নয়। ফলে একই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিরোধ। এই বিরোধের জেরে গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাকআউটসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছেন পবিসের কর্মীরা। তাদের দাবি, আরইবির কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ঢাকতেই পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের বৈষ্যমের শিকার বানানো হয়েছে।
এদিকে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়নের পাশাপাশি অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অনেককেই চাকরিচ্যুতির নির্দেশনা দিয়েছে আরইবি। অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আরইবি ও পবিসের মধ্যে তৈরি হওয়া বিরোধের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরাসরি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। এসব সমিতিতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক তাদের আওতায়। গত কিছুদিন যাবৎ তারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ বেশ কিছু দাবিতে সমিতির কর্মীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। সেই আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর প্রতিবাদে এর আগেও গত বছর সাধারণ কর্মীরা ৬১টি সমিতিতে ব্ল্যাকআউট করেন। তবে তাদের দাবি পুরোপুরি মানা সম্ভব নয় বলে মত বিদ্যুৎ বিভাগের।
দেশের পল্লী বিদ্যুতের সেবা মূলত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছায়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে সব লাইন নির্মাণ এবং মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ করা হয়। আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সবচেয়ে বড় কাজ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন সংযোগ দেওয়া এবং অভিযোগ সমাধান করা। কিন্তু অন্যান্য বিতরণ সংস্থার থেকে অতি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে লাইন নির্মাণ এবং নিম্নমানের মিটার, ট্রান্সফরমার, তারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। ফলে আকাশে মেঘ উঠলেই পল্লী বিদ্যুতের লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়-বাদলে খুঁটি ভেঙে দিনের পর দিন গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকে। ভুক্তভোগী হয় সাধারণ গ্রাহক এবং গ্রাহক পর্যায়ে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলেও বিভিন্ন পল্লি অঞ্চলে তীব্র লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগকেই তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে বেসরকারি এক কর্মকর্তা শাহেদ রহমান বলেন, ঈদে বাড়ি গিয়ে আনন্দের চাইতে কষ্টই বেশি হয়েছে। ২০ বছর আগের মতো গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে। অনেকটা মোবাইলে মিসকল দেওয়ার মতো করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সারা দেশেই পল্লি অঞ্চলগুলোতে লোডশেডিংয়ের তীব্রতায় নাকাল হচ্ছে জনজীবন। বিশেষ করে পুরো দেশ যখন ঈদের ছুটিতে গ্রামমুখী হচ্ছে, তখন লোডশেডিংয়ের তীব্রতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পল্লি অঞ্চলের গ্রাহকদের। দেশের সব জেলা-উপজেলায় সব মিলিয়ে চাহিদার চাইতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্যমতে, তীব্র দাবদাহের মধ্যে গত এক সপ্তাহে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে। তার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। ফলে সরকারি হিসাবেই লোডশেডিং করতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ বলে দাবি পল্লি এলাকার বাসিন্দাদের।
সম্প্রতি লোডশেডিংয়ে বেশি নাজেহাল হতে হচ্ছে সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল অঞ্চলের বাসিন্দাদের। সরবরাহ না থাকায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও। পিডিবির হবিগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকোশলী মঞ্জুর মোর্শেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের শহরে দৈনিক চাহিদা ১৭ থেকে ১৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু আমরা সরবরাহ পাচ্ছি ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। তবে আশা করছি ঈদের ছুটিতে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’
বিদ্যুতের সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় গত প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। পিডিবি সূত্রে জানা যায়, এই সিটিতে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা অন্তত ১৫০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ মেগাওয়াট। ফলে প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ফলে গরমে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরীর মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা রাজীব আহমেদ বলেন, ‘বছর বছর শুনি বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। কিন্তু কী লাভ যদি প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ না থাকে?’
একই অবস্থা ময়মনসিংহেও। বৃহত্তর ময়মনসিংহে এই কদিনে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়িয়ে ২৫০ মেগাওয়াটে। বিপরীতে সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র ১৬০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট। এতে করে এখানে লোডশেডিংও বেশি হচ্ছে। নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মেহেরুন্নেসা মৌ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তীব্র গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন ঘরে এলে বিদ্যুৎ থাকছে না। এত বিদ্যুৎ কই যায়? যদি সাধারণ মানুষকেই কষ্ট পোহাতে হয়, তাহলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল হলো কি? গত ১ এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় এমন কোনো দিন নেই লোডশেডিং করতে হয়নি। টাঙ্গাইলের কৃষকেরা জানিয়েছেন, সেচের অভাবে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, তীব্র গরমে ধানের ব্লাস্ট রোগ (ছত্রাক থেকে হওয়া) রোধে প্রচুর সেচ দিতে হয়। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট এবং কম ভোল্টেজের কারণে আমরা প্রয়োজনীয় পানি সেচ দিতে পারছি না।
গ্রীষ্মের উষ্ণতম দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতিদিন পিক আওয়ারে (দিনের যে সময় সর্বোচ্চ চাহিদা হয়) গড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক দিন যাবৎ পিডিবির তথ্যমতে চাহিদা ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি ছিল। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং করতেই হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর মতে, বিদ্যুৎ থাকছে না এই পরিস্থিতি বেশির ভাগই গ্রামীণ এলাকায় দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, মানুষ শুধু প্রচণ্ড গরমে ভুগছে না, তারা বোরো ধানের খেতে সেচ দেওয়ার জন্য পানির পাম্পও চালাতে পারছে না। এর মধ্যে আবার যদি পবিস কর্মীরা আন্দোলনে যান, তাহলে পল্লি অঞ্চলে বিদ্যুৎবিভ্রাট আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আপনার মতামত লিখুন :