- ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- অনুষ্ঠানে আজ অংশ নেবেন বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যেকোনো সময়ে জুলাই সনদে সই করতে প্রস্তুত। জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপি আন্তরিক, সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়েছে। প্রস্তাবের মধ্যে যদি অযৌক্তিক কিছু থাকে, তাহলে মনে হতে পারে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পাঁয়তারা চলছে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে যেকোনো সময় প্রস্তুত বিএনপি বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গুলশানের নিজ বাসভবনে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য বিএনপি তার খসড়া জমা দিয়েছে। জুলাই সনদ নিয়ে যদি আরও আলোচনা করতে হয় তাতেও বিএনপি রাজি বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন তিনি। মানিক মিয়া এভিনিউতে যোগ দেবেন বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির আরও দুই সদস্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
গুলশানে মতবিনিময়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৯টি মৌলিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ঐকমত্য কমিশনে। ১৯টির মধ্যে সাতটিতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে বিএনপি। ১২টিতে একমত হয়েছে দল। জুলাই সনদ, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ নিয়ে তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৩০ জুলাই কিছু সংশোধনসহ বিএনপির পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিএনপি নাকি সহযোগিতা করছে না। নিশ্চয়তা না পেলে সনদে সই করবেন না বলছেন। বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, তাদের (সমালোচনাকারীরা) রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা থেকে অনেক কথা বলতে পারে। এগুলো নিয়ে আলোচনা হলে অংশ নেবে বিএনপি। কিন্তু এগুলো নির্বাচন পেছানোর কৌশল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শুধু সংবিধান সংশোধনের বিষয় বাদে বাকি সব বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। কোনো আইনি বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়া, সংসদ ছাড়া কোনো বৈধ প্রক্রিয়ায় সংবিধান সংশোধন করা যায়, সেটি তারা বলতে পারে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে এর জবাবও দিয়েছি। কিন্তু ৭ জুলাই পর্যন্ত আর কোনো আলোচনা হয়নি। ৭ তারিখ যে ড্রাফট দিয়েছে আমাদের, সেখানে তারা ২৬ মার্চকে উপস্থাপন করতে চাননি। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেব চতুর্থ তপশিলের মাধ্যমে। জুলাই ঘোষণাপত্রের ক্ষেত্রে বিএনপি যে সংশোধনী দিয়েছে তা মেনে না নেওয়া হলে ঘোষণাপত্র পাঠের পর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি।
আপনার মতামত লিখুন :