মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন উর রশীদের রহস্যজনক মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

সাবেক সেনাপ্রধান  হারুন উর রশীদের  রহস্যজনক মৃত্যু

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম ক্লাব গেস্ট হাউসের আবাসিক কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরপ্রতীক) এম হারুন উর রশীদের (৭৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনের। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই মৃত্যু রহস্যজনক। 


এম হারুন উর রশীদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় হলেও তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।


জানা গেছে, অবসরে যাওয়ার পর ডেসটিনিতে যোগ দেন এম হারুন উর রশীদ। ডেসটিনির গ্রাহকদের করা একটি মামলায় হাজিরা দিতে গত রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন তিনি। বিকেল ৪টায় তিনি চট্টগ্রাম ক্লাব গেস্ট হাউসের একটি ভিআইপি কক্ষে ওঠেন। গতকাল সোমবার সকালে হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার কথা। 


চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ক্লাব থেকে বেরিয়ে বাইরে যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন উর রশীদ। পরে রাত ১১টার দিকে গেস্ট হাউসে ফেরেন তিনি। পুলিশ আরও জানায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় গেস্ট হাউসের পেছনের দরজা দিয়ে বিছানার ওপর পড়ে থাকা হারুন উর রশীদের নিথর দেহ দেখতে পান আর্মি প্রটোকল সদস্য এবং ক্লাবের কর্মচারীরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।  


এদিকে সেনাপ্রধানের নিকটাত্মীয় এনাম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ক্লাবের ভিআইপি রুমে তিনি (সাবেক সেনাপ্রধান) একাই ছিলেন। সম্ভবত স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।
২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত দশম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হারুন উর রশীদ। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ডেসটিনির সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হন এবং চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলও খাটেন।


এম হারুন উর রশিদ ১৯৮৯ সালে মেজর জেনারেল এবং ১৯৯২ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক, ১৯৯২  থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত  সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট জোনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!