ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অঞ্চলে গ্যাস অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আট হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ গ্যাস নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় মূলত তিনটি বৃহৎ নগর অঞ্চলের গ্যাস সঞ্চালন, বিতরণ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে। মূলত এসব অঞ্চলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই সরবরাহ না বাড়িয়ে নতুন প্রকল্প নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। শুরু হবে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এবং শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে তিতাস গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড। তবে এত বিপুল অর্থ ও সময় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংকট দূর না হওয়াও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যা প্রকল্পের বাস্তবতা ও কার্যকারিতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই প্রকল্পসংক্রান্ত ডকুমেন্ট রূপালী বাংলাদেশের হাতে এসেছে।
সরকারি কাগজপত্র অনুযায়ী, এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট আট হাজার ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সাত হাজার ২৪৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অর্থায়ন করবে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। তিতাস গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় করা হবে ৮২১ কোটি ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ব্যয়ের প্রায় সিংহভাগ আন্তর্জাতিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, যা প্রকল্পের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত উচ্চমাত্রার। উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণের ওপর নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছেÑ ব্যয়ের বড় অংশ ভূমি উন্নয়ন ও প্রশাসনিক খাতে বরাদ্দ, যেখানে বাস্তব সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যথেষ্ট জোর নেই। গ্যাস সরবরাহে কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া অবকাঠামো সম্প্রসারণ কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারবে না।
এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১০৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাইপ ব্যবহৃত হবে, যেমনÑ হাই প্রেশার স্টিল পাইপলাইন, মিডিয়াম প্রেশার পাইপলাইন ও লো প্রেশার পাইপলাইন।
এই প্রকল্পে মোট ৭৫টি গ্যাস প্রেশার রেগুলেটর স্টেশন (গ্রিড স্টেশন বা সাব-স্টেশন) স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব স্টেশনের কাজ হবে গ্যাস প্রবাহের চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা, যাতে নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। এ ছাড়া আরও কিছু সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে, যেমন-ডিস্ট্রিবিউশন কন্ট্রোল স্টেশন, ডিজিটাল মনিটরিং ও অটোমেশন ইউনিট, ফায়ার ও নিরাপত্তা সিস্টেম এবং প্রশিক্ষণ ও পরিচালনাগার উন্নয়ন।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি মূল্যায়ন করে বলেছে, প্রকল্পটি সময়োপযোগী এবং শিল্পায়নের স্বার্থে জরুরি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় গ্যাস বিতরণব্যবস্থা পুরোনো, ঝুঁকিপূর্ণ ও অপর্যাপ্ত হওয়ায় অবকাঠামোগত পুনর্গঠন এখন জরুরি।
কমিশন মনে করে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস হ্রাস, চুরি রোধ, গ্যাস সরবরাহে গুণগত উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় সম্ভব হবে। এই বিষয়ে তারা ভূমি অধিগ্রহণ খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে।
বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস সংকট শুধু অবকাঠামোর অভাবে হচ্ছে না, এটা হচ্ছে পরিকল্পনার অভাবে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস রিজার্ভের উন্নয়ন, অনুসন্ধান এবং এলএনজি সরবরাহ স্থিতিশীল না হলে, যত পাইপলাইনই বানান, তাতে গ্যাস থাকবে না। প্রকল্পের ঘোষণায় আমি নতুন কিছু দেখছি নাÑ পুরোনো সমস্যার ওপর নতুন রঙের প্রলেপ মাত্র।
প্রকল্প গ্রহণের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রচ- চাহিদা ও সরবরাহ ঘাটতির বিস্তার: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় শিল্প ও জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু গ্যাস সরবরাহ অবকাঠামো সেই হারে উন্নত হয়নি। পাইপলাইনগুলো পুরোনো, ঝুঁকিপূর্ণ ও চাপ ধরে রাখতে অক্ষম: অনেক পাইপলাইন ৩০-৪০ বছরের পুরোনো, যেখানে ফাটল, লিকেজ এবং চুরি বাড়ছে। ফলে সিস্টেম লস বেড়ে গেছে। শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া: গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে, রপ্তানি আদেশ হারাচ্ছে, শ্রমিক বেকার হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নগরায়ণ ও শিল্প সম্প্রসারণকে মাথায় রেখে আগাম অবকাঠামো প্রস্তুত করা: আগামী এক দশকে ঢাকা-গাজীপুর করিডোর হবে দেশের প্রধান অর্থনৈতিক অঞ্চল।
এই বাস্তবতা মাথায় রেখে বড় পরিসরের গ্যাস নেটওয়ার্ক প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতা উপলব্ধ থাকা: নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো সংস্থাগুলো এই খাতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মাধ্যমে বড় প্রকল্প গ্রহণ সহজ হয়েছে। এবং ডিজিটাল ও আধুনিক গ্যাস ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের প্রয়োজন: দেশে এখনো গ্যাস বিতরণব্যবস্থা ম্যানুয়াল ও তথ্যবিহীন, যা ঝুঁকিপূর্ণ এবং অদক্ষ ব্যবস্থাপনার শিকার। আধুনিকীকরণ অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা এবং গাজীপুর জেলার সদর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শিল্পাঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত এই তিনটি অঞ্চলে গ্যাস চাহিদা অত্যন্ত বেশি। গ্যাস সরবরাহ ঘাটতির কারণে বর্তমানে অসংখ্য টেক্সটাইল, ডাইং, ওভেন, সিরামিক, প্রসেসিং, কেমিক্যাল এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল কারখানায় মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রায় প্রতিদিনই গ্যাসের চাপ এতটা কমে যায় যে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। অনেক সময় কয়েক ঘণ্টা একটানা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। অথচ এই পরিস্থিতি নতুন নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। নিয়মিতভাবে লো প্রেশার এবং লো ফ্লো-এর অভিযোগ আসছে ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে।
নারায়ণগঞ্জের একটি বৃহৎ টেক্সটাইল কারখানার মালিক জানান, তাদের কারখানায় প্রতিদিন অন্তত ১৬ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না থাকলে উৎপাদন চালানো সম্ভব হয় না। কিন্তু বাস্তবে দিনে আট ঘণ্টাও গ্যাস থাকে না। বাকি সময় শ্রমিকদের বসিয়ে রাখতে হয় অথবা বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হয়, যা খরচ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
গাজীপুরের একজন ওভেন গার্মেন্টস মালিক বলেন, শিল্প-কারখানার মধ্যে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ এবং গতি এমন পর্যায়ে নেমে গেছে যে তারা নিয়মিত লোকসানের মুখে পড়ছেন। অথচ প্রতি মাসেই গ্যাস বিল দিতে হচ্ছে পুরোদমে।
প্রকল্পের ব্যয় কাঠামো পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, এর একটি বিশাল অংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভূমি উন্নয়নে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় তিন হাজার তিনশ কোটি টাকা শুধু ভূমি অধিগ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যয় করা হবে।
তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি গ্যাস অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে এত বড় পরিমাণ অর্থ ভূমি খাতে ব্যয় হওয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে যখন গ্যাস সংযোগ ও চাপ নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো যথেষ্ট দুর্বল, তখন ভূমি অধিগ্রহণে এই মাত্রার ব্যয় প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষক সানজিদা রহমান বলেন, ভূমি উন্নয়নে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় অস্বাভাবিক। এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব বা প্রশাসনিক অপচয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অর্থ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতকরণে ব্যয় হলে শিল্প উদ্যোক্তারা বাস্তব সুফল পেতেন।
তিতাস গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় আধুনিকতা, নিরবচ্ছিন্নতা এবং সক্ষমতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে অতীতের বহু প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বলতা, স্বচ্ছতার অভাব এবং অনিয়মের নজির থাকায় উদ্যোক্তা মহলে শঙ্কা রয়েছে, এই প্রকল্পও হয়তো কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে একটি প্রকল্প পরিচালনা ইউনিট গঠন করার প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে প্রকৌশল, বিতরণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, তথ্য-প্রযুক্তি ও পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমন্বয় করে একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরির কথা বলা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাস সরবরাহ নিয়ে দেশে যে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংকট রয়েছে, তা শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। দেশের নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন কমে আসা, এলএনজি বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা এবং ডলার সংকটের কারণে গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় পুরো বিতরণব্যবস্থা একটি চাপে পড়েছে। এমতাবস্থায় শুধু গ্যাস নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করলেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে বাস্তবভিত্তিক আলোচনা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা কয়েকটি সুপারিশ সামনে এনেছেন। তাদের মতে, এই প্রকল্পের আওতায় বাস্তবিক অর্থে গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত না হলে অবকাঠামো সম্প্রসারণের সুফল পাওয়া যাবে না। তাই প্রথমত, শিল্পাঞ্চলভিত্তিক সরবরাহ পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আলাদা উপকমিটি গঠন করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, গ্যাস চাপ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে হবে, যার মাধ্যমে কোন এলাকায় কখন, কত চাপ রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা যাবে। তৃতীয়ত, প্রকল্প ব্যয়ের একটি বৃহৎ অংশ যেন প্রকৃতপক্ষে সরবরাহ লাইনের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। চতুর্থত, স্থানীয় বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সর্বশেষ, গ্যাস সরবরাহ ও বিতরণ বিষয়ে যে তদারকিব্যবস্থা রয়েছে তা আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং বিকেন্দ্রীভূত হতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি প্রকল্পটি সময়মতো ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো প্রধান শিল্প অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এই প্রকল্পও যদি পূর্ববর্তী প্রকল্পগুলোর মতো খরচ বেশি, কাজ কম এবং স্বচ্ছতার অভাবে ভোগে, তাহলে এতে শুধু বিপুল অর্থ ব্যয় হবে, শিল্প খাতের অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না। এই অবস্থায় প্রয়োজন প্রকল্পের ওপর জাতীয় পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ও গণতান্ত্রিক জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, যাতে জনগণের অর্থে বাস্তবিক লাভ জনগণই পায়।
আপনার মতামত লিখুন :